উপজেলা সান্তাহার পৌরসভা শহর সংলগ্ন কামারকুড়ি নামক স্থানে অবস্থিত বুশরা গ্রুপ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে বিধান চন্দ্র মন্ডল নামের এক হিন্দু ব্যক্তির ফসলি জমি সীমান প্রাচীর দিয়ে দখল করার অভিযোগ মিলেছে। জানা গেছে, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কামারকুড়ি মৌজায় বুশরা গ্রুপের মালিক আলহাজ¦ হাফেজ বেলাল হোসেন তিন ফসলি জমির মাঠে বুশরা স্পেশালাইজ কোল্ডস্টোর নামক প্রতিষ্টান নির্মান করার জন্য প্রায় চার একর জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মাদ রুমানা আফরোজ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের অনুমোদন না থাকায় নির্মান বন্ধ করে দেন। এদিকে প্রস্তাবিত বুশরা কোল্ডস্টোর প্রকল্পের মধ্যে পাশের গ্রামের কয়েক ব্যক্তির জমি রয়েছে। এর মধ্যে বড় আখড়া গ্রামের বিধান চন্দ্র মন্ডল নামের এক হিন্দু ব্যক্তিও রয়েছে। বিধান চন্দ্র জমিটি প্রায় পাঁচ বছর পুর্বে বিক্রির জন্য পৌরসভার বশিপুর গ্রামের মতিউর রহমান স্বপনের সাথে বায়না করেন। পরবর্তীতে মতিউর রহমান স্বপন তার ক্রয় করা অন্য কয়েক বিঘা জমি বুশরা গ্রুপের নিকট বিক্রি করেন। এসময় তিনি বিধান মন্ডলের সাথে করা বায়নানামার জমিটিও বুশরা গ্রুপের নিকট হস্তান্তর করেন। এই বায়নানামা বলে বুশরা গ্রুপ তার ক্রয় করা অন্য জমির সাথে বিধান চন্দ্রের জমিও সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। এতে করে অসহায় হয়ে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দরীদ্র ব্যক্তি বিধান চন্দ্র মন্ডল। বিধান চন্দ্র এই প্রতিনিধিকে বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের দরীদ্র ব্যক্তি হওয়ায় ন্যায় বিচার পাচ্ছি না কোথাও। এবিষয়ে মোবাইল ফোনে বুশরা গ্রুপের মালিক আলহাজ¦ হাফেজ বেলাল হোসেন বলেন, বিধানের জমিটি আমার প্রজেক্টের মাঝামাঝি স্থানে থাকায় সীমানা প্রাচীরের মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, ওই জমি নিয়ে হাল রেকর্ড সংশোধনী মামলা রয়েছে। বিধান মামলায় জয়ী হলে তার নিকট থেকে রেজিস্টি ক্রয় করে নিব। তিনি আরো বলেন, ওই জমির হাল রেকর্ড মুলে মালিক একই গ্রামের আব্দুল হামিদ মন্ডল। ফলে তার ওয়ারিশদের নিকট থেকে ইমিমধ্যে কিনে নিয়েছি। অপর দিকে বুশরা গ্রুপ তার এই নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরিতে সফল হলে অপমৃত্যু হবে একটি তিন ফসলি মাঠের এমন অভিযোগ মাঠের অন্য সব জমির মালিক ও সচেতন এলাকাবাসী।
মোহাম্মদ আলী