ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আ. লীগ নেতার বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

আ. লীগ নেতার বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী মোঃ ইউসুফ আলীর বসতবাড়িতে হামলা, মারধর, ভাংচুর, জমি দখল, লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইউসুফ আলীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান তার বাবা সন্ত্রাসীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপরও সন্ত্রাসীরা আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এটাই তার অপরাধ। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় শাহজাহান বিশ্বাস, নূর নবী গাজী ও হাবিব মৃধা গংরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের ৪০ বছরের ভোগদখলীয় দুই একর জমি একদল সন্ত্রাসী নিয়ে দখল করে নেয়। বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। নগত তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ সবকিছু নিয়ে যায়। এসময় আমার বাবা, ভাই বোনকে ব্যাপক মারধর করে। আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলীর পা ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এসময় আমরা প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চাইলে তারা সহায়তা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।


হাবিব রহমান আরো বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ মোট ৬.৬২ একর জমির কাগজমূলে মালিক তার বাবা। এসব জমিতে তাদের রোপণকৃত গাছপালা ও বসতবাড়ি রয়েছে। যা দীর্ঘ তিন যুগ চাষাবাদ ও ভোগদখলে আছেন তারা। আওয়ামী সরকারের পতনের পরে স্থানীয়  সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, পরবর্তীতে ৮০২ নম্বর খতিয়ানের ১.৯০ একর জমি জবর দখল করে নিয়ে গেছে। দখলকৃত ৬০ শতাংশ জমির মধ্যে টিনের দু’টি দোচালা ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন বলেও তিনি দাবি করেন।


এ বিষয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং সি.আর ১৫৩৮/২৪। এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪৪, ৪৫ ধারায় ১৩ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৫৬/২৪। সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ওটা রাজনৈতিক বিষয়। এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তবে দীর্ঘ বছর তারা আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগদখল করছিল। সেটা আমরা পুনরুদ্ধার করে দখলে নিয়েছি এটা সত্য।

শিহাব

×