দেশের জন্য জীবন দিলেও উত্তরাধিকারের জীবন নিভু নিভু করছে তেল ফুরানো প্রদীপের মতো। কখনো চায়ের দোকানে , কখনো রেস্তোরায় কাজ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী।জাতীয় দিবস ছাড়া তাদের খোঁজ নেই না কেউ। অযত্ন অবহেলায় ধ্বংসের পথে এই বীরের নামে তৈরি গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
নৌবাহিনীতে চাকুরি অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ২ নং সেক্টরে গানবোট বিএনএস পলাশের প্রধান ইন্জিনরুম আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন। মোংলা বন্দর দখল শেষে টার্গেট যখন খুলনা দখলের তখনই শত্রুর বোমারু বিমানের লক্ষ্যবস্তুতে পড়ে যায় দুটি জাহাজ। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইলে আকাশ থেকে ফেলা বোমায় ডান হাত উড়ে যায় রুহুল আমিনের। আহত অবস্থায় নদীতে ঝাপ দিয়ে সাতঁরে পাড়ে উঠতেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের সামনে পড়েন। শত্রুর নিমর্ম নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন রুহুল আমিন।
বাবার বীরত্ব দেশবাসী জানলে ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে তার পরিবারের খোঁজ নেওয়ার যেন কেউ নেই। চরম দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে হেরে কখনো চায়ের দোকানে পানি টেনে , কখনো বা করাত কলে কাজ করে দিননিপাত করছেন তার ছেলে শওকত আলী।
জীবন বাজি রেখে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই বীর যোদ্ধার স্মৃতিচিহ্নটুকু মুছে যাওয়ার পথে। নতুন প্রজন্মের কাছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে তাঁর নামে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের দাবি স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর।
মহি