সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে দোকান নির্মান
সিরাজগঞ্জের ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কে শালুয়াভিটা হাটে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। সাইফুল ইসলাম খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক। সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও তোয়াক্কা করছেনা এই বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম।
শালুয়াভিটা হাটের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছর এই হাটের ইজারা বাতিল করেছে সরকার। তার পরেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারী জায়গা বুঝে নেয়। দীর্ঘদিন ওই জায়গায় ফাঁকা ছিলো। সরকার পতনের সুযোগে এই বিএনপি নেতা অবৈধভাবে একের পর এক সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে পজিশন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান খোকা বলেন, সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। তার পরেও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাইফুল ইসলাম সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাইফুল ইসলাম যেভাবে চাঁদাবাজি করছে এতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি জেলা বিএনপির নেতাদের দৃষ্টি কামনা করছি।
শালুয়াভিটা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন জানান, সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারি জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সরকারের নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করছে। সড়ক ও জনপদের জায়গা জোড়পুর্বক দখল করায় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই অবৈধ স্থাপনা দ্রুত বন্ধের জন্য সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট আমরা ব্যবসায়ীরা জোড়দাবী জানাচ্ছি।
সড়ক ও জনপদের জায়গায় ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই হাটে আমার সহ অনেক ব্যবসায়ীর দোকান ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছিলো। তাই আমি সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা পুনরায় ঘর নির্মাণ করছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, আমাদের সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়টি অবগত হয়েছি। পরে গত (১৭ ডিসেম্বর) দোকান ঘর উচ্ছেদের জন্য লিখিভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশের পরেও কেউ যদি ঘর নির্মাণ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইদ