
সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, হত্যা, নির্যাতন এবং নানা অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা স্থানীয় জনগণের উপর নিপীড়ন চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত এসব নেতারা ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান। কেউ দেশেই গা ঢাকা দিয়েছেন, আবার কেউ পালিয়েছেন বিদেশে, বিশেষ করে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যে।
নেতৃত্বে ছিলেন প্রভাবশালী নেতারাঃ সাভার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম রাজিব, আশুলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, এবং ছাত্রলীগ নেতা আতিকসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন তালুকদার তৌহিদ, চং মুরাদ, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
প্রতিবাদ করলে নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার হতে হতো, যার ফলে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই নীরব ছিলেন।
৫ আগস্টের পর থেকে এলাকাবাসী এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। গত চার মাসে সাভার, আশুলিয়া এবং ধামরাই এলাকায় শতাধিক মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্রিয় প্রচেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এলাকাবাসী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, আতিক বাহিনী ও রাজিব বাহিনীর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা এই অপরাধীদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকাবাসীর শান্তি এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে।
রাজু