শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টাও করছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক মাস ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডা।
এতে করে শীত কষ্টে ভুগছেন জেলার ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরাও। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব মানুষের শীত নিবারনে সরকারিভাবে ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসন।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জামাল বাদশাহ বলেন, এতো ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজে করা যায় না, হাত পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টোত পড়ছি।
ওই এলাকার কনছোর আলী বলেন, সকাল করি এতো শীত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে বাহির হওয়ায় যায় না। রাতে ঠান্ডা কারণে ঘুমে হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হইল হয়।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শীত ও ঠান্ডায় কোন ফসলের ক্ষতির আশংকা নেই। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বীজতলার কোন ক্ষতি না হয়।
মোহাম্মদ আলী