আবু রেজা নদভী
আওয়ামী লীগে না থেকেও চট্টগ্রাম ১৫ আসন থেকে আবু রেজা নদভী ২০১৪ ২০১৮ তে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। রহস্য জনক ভাবে একই সাথে সাতকানিয়া লোহাগাড়া থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিনা ভোটে দলে না থাকার পরেও বিস্ময়কর ভাবে নদভী মনোনয়ন পাওয়াটাকে অনেকেই আওয়ামী লীগের দেউলিয়া হওয়ার সাথে তুলনা করেন।
সেই সাথে সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় দুই দফায় এমপি হয়ে ১০ বছর শাসন করেছেন দাপটের সঙ্গে। নিজের স্ত্রী শ্যালক ভাতিজা এবং পিএসকে দিয়ে সব ধরনের অপকর্ম পরিচালনা করতেন তিনি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
ইটভাটা স্থাপন, পাহাড় কাটা, আবাদি জমির কাটা ,অবৈধ সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপনা, সহ সব ধরনের অবৈধ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের পন্থা ছিল তার হাতে।
চট্টগ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি দখলসহ, বিদেশীদের কাছ থেকে অনুদান এনে মসজিদ করার নামে ব্যবসা করা, থেকে শুরু করে আর নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এসব করে তিনি বিশাল টাকার মালিক হয়ে যান। এত অনিয়ম করার পরেও ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।
২০২৪ সালের নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন এই নদভি। এরপর থেকেই বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অপকর্মের চিত্র।
এছাড়া উপজেলা কর্মকর্তাকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নবীর পিএস এর হাত দিয়ে কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ বিলি করা হয়।এবং এমপি নির্বাচন হওয়ার পর দুই মেয়াদে নির্বাচন কমিশনে তার হলফনামা থেকে জানতে পাওয়া যায় তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণ।
একই সাথে তার স্ত্রী রেজিয়া বেগমের সম্পদ বাড়ে সাড়ে তিন গুণ। সর্বগ্রাসী দাপট খাটানো নদভী শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।
তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রোববার রাতে আত্মগোপনে থাকা নদভীকে উত্তরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায় সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসাইন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করাকে নামঞ্জুর করা হয়।
আর কে