হালদা নদী
২০ ডিসেম্বর- হালদা নদী থেকে দিন দিন জৌলুস হারিয়ে যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণ ও নদীর গভীরতার কারণে প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে মাছের প্রজনন ক্ষমতা।এই হালদাকে বাঁচাতে হলে নদীর বালু উত্তোলন ও অবৈধভাবে জাল দিয়ে মা মাছ শিকার করা বন্ধ ও বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য অপসারণ রোধ করতে হবে।
হালদা নদী একটা সোনার খনি, হালদার একটা মা-মাছ কয়েক কোটি টাকার চেয়েও বেশি দামি। তাই এই নদীকে বাঁচাতে হলে সম্মিলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে হালদা নদীর জন্য পাহারাদার নিয়োগ করা হবে। মা-মাছ শিকার রোধ করতে আগে হালদা পাড়ের যারা বাসিন্দা আছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত অংশীজনের উদ্বুদ্ধ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উত্তর মার্দাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) চট্টগ্রামের প্রকল্প হ্যাচারি তত্ত্বাবধায়ক নাজমুল হুদা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লূৎফন নাহার শারমীন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুজন কাননুনগো, উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরুণ চাকমা।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন, উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি জাহেদ মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল, ডিম সংগ্রহকারী সমিতির সভাপতি মো. শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী আবু তালেব, ডিম সংগ্রহকারী মো.ইলিয়াস, মো. শহিদুল্লাহ, কামাল উদ্দীন ও মো. ইকবাল প্রমুখ।
আর কে