রাজধানীর মতিঝিলে কর্মচারীদের সংগঠনের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মারধর আব্দুল হালিম (৬৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়েজ ইউনিয়নের সভপতি ছিলেন।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সহকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত আব্দুল হালিমের ছেলে এ,জেড,এম ফয়সাল খান জানান, তাদের বাড়ি চট্রগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আহলা গ্রামে। তার বাবা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অফিস সহকারী ছিলেন এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। গত মঙ্গলবার তার বাবা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। বুধবার জানতে পারি কে বা কারা তার বাবাকে মারধর করছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে বাবার মরদেহ পাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃতের সহকর্মী ও ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আব্দুল হালিম বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অফিস সহকারী ছিলেন। ২০২০ সালে চট্রগ্রাম পটিয়ার ব্যাংক থেকে অবসের যান। তবে ইউনিয়ন নিয়ে ব্যাংকের অন্য সহকর্মীর সাথে ঝামেলা চলছিল। অক্টোবর মাসে ব্যাংকের বার্তা বাহক ফয়েজ ও ক্যাশিয়ার মিরাজ মতিঝিলের ইউনিয়ন অফিস থেকে হালিমকে বের করে তারা নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবি করে সংগঠন দখল করে। এই ঘটনায় মতিঝিল থানায় ফয়েজ ও মিরাজের বিরুদ্ধে জিডি করেন। জিডি নম্বর (৩৩৫)। এছাড়া তার পদ ফিরে পেতে লেবার কোর্টে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মতিঝিল বিমান অফিসের সামনের গলিতে তারা কয়েকজন সহকর্মী চায়ের দোকানে ছিলেন। এমময় ফয়েজ, মিরাজসহ সাত থেকে আটজন সেখানে এসে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে হালিমকে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। এতে হালিম অচেতন হয়ে পরে। তখন হালিমকে টেনে হিচরে কৃষি ব্যাংকের দশ তলায় ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে হালিমের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে মারা যায়।
মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সজীব কুমার সিং জানান, মতিঝিল বিমান অফিসের গলিতে মৃত আব্দুল হালিম পুরাতন কলিগদের সাথে পূর্বের জের ধরে ধস্তাধস্তি হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
জাফরান