ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১

মাঝ ডিসেম্বরেই উধাও শীত?

স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মাঝ ডিসেম্বরেই উধাও শীত?

দেশের সর্বউত্তরের রংপুর বিভাগের নীলফামারী, লালমনিরহাট,পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও বিভিন্ন এলাকায় মেঘমুক্ত নীলাভ আকাশে সমতল থেকেও এখন ¯পষ্ট দেখা যাচ্ছে হিমালয় পর্বত মালার কাঞ্চনজঙ্ঘা। মনে হবে যেন জেগে উঠেছেন ঘুমন্ত বুদ্ধ। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ¡সিত উত্তরাঞ্চলের সমতলের বাসিন্দা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের দল। কিন্তু দিনের বেলায় ঠান্ডা সেভাবে অনুভ‚ত হচ্ছে না। মাঝ ডিসেম্বরে শীত কার্যত উবে যাওয়ায় হতাশার ছবিটা সমতলেও। কড়া রোদে কৃষকরা ফসলি জমিতে ফসল আবাদে হালচাষ করছে। আচমকা শীত উধাও হয়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের পা পড়ছে না পুরানো গরম কাপড়ের মার্কেটে। হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতার উপস্থিতি এবং টুকটাক কেনাকাটায় কীভাবে ব্যবসা চলবে, এমন প্রশ্ন করলেন এই ক্ষদে ব্যবসায়ীদের। রাতের সময়টুকু বাদ দিলে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঘাম ঝরার উপক্রম । ফলে যথারীতি এই শহরেও গরমের পোশাকের বিক্রিতে ভাটা।
উত্তরের সর্বত্র তাই প্রশ্ন, জাঁকিয়ে পড়ার আগেই কি শীত বিদায় নিচ্ছে? তবে সামনে এখনও মাঘ মাস অপেক্ষা করছে। অগ্রহায়নের শেষ সপ্তাহে শীত ভালই ইনিংস খেলছিল। কিন্তু পহেলা পৌষ আসা মাত্র পাল্টে গেল চিত্র। তখন বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পি প্রয়াত মান্নাদের কন্ঠে গাওয়া পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন,ফিরে আর আসবে কি কখনো... গানের প্রশ্ন ভরা কথা গুলোর উত্তরে দেখা যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে পৌষের কড়া রোদ ফিরে এসেছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
সাধারণত উত্তরবঙ্গে শীত নির্ভরশীল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ওপর। শক্তিশালী ঝঞ্ঝার দেখা না মিললে শীতল
অনুভূতিও পাওয়া যায় না। বর্তমানে ঝঞ্ঝা অনুপস্থিত। মেঘমুক্ত আকাশের জন্য সরাসরি সূর্যের আলো
পৌঁছানোয় দিনেরবেলা গরম থাকছে যথেষ্ট। আগামী আরও কয়দিন  পরিস্থিতির তেমন বদল ঘটবে না বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া দপ্তর। তবে শুক্রবার থেকে যে হাওয়া বদল ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন নীলফামারীর সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিম। তাঁর বক্তব্য, উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের এই অঞ্চল ওপারে দার্জিলিং এর আবহাওয়ার সাথে মিলে মিশে আছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের খবর মতে আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) যদি  সিকিম এবং দার্জিলিং পাহাড়ে বিপ্তিভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঝরতে পারে তুষারকণাও। তাহলে সেই ঠান্ডার আভাস উত্তর পশ্চিম দিক দিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের  প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এই পর্যায়ে শীতের স্থায়িত্ব কতদিন? নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না।  বক্তব্য, অন্তত চার-পাঁচদিন তো থাকবেই। বৃষ্টির পরবর্তী পর্যায়ে ঘন কুয়াশাতেও ঢাকবে উত্তরবঙ্গের  জেলা গুলো।
আবহাওয়া অফিস মতে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উত্তরের আট জেলায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রাকে ম্লান করে দিয়েছে পৌষের  ঝলমলে কনকনে রোদ্র। সুত্র মতে আজ বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলের সর্ব নিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (ডিগ্রি সেলসিয়াসে) : রংপুরে ১৪.৬ ও ২৬.৯, দিনাজপুরে ১১.৫ ও ২৭.৫, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৩.২ ও ২৮, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০.২ ও ২৭.৩, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১.৪ ও ২৫.৬ এবং নীলফামারীর তিস্তা বিধৌত ডিমলায় ১৩ ও ২৭.৫।

 

আর কে

×