ছবি: নিষিদ্ধ পলিথিনে বরাট হচ্ছে খাল-বিল
ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাত বাড়ালেই মিলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন। উপজেলায় সবকটি হাটবাজার এখন পলেথিনে সয়লাব। ব্যবহার শেষে এসব পলিথিন যেখানে সেখানে ফেলার কারনে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
পাশাপাশি পলিথিনের কারনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুর, খাল, বিলসহ নালা- নর্দমা। যার ফলে, একদিকে বাড়ছে জলবদ্ধতা। অন্যদিকে কমেছে মাছের উৎপাদন। সরকারের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দিনের পর দিন পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার অব্যাহত থাকায় উদ্ধিগ্ন সচেতন মহল। এ নিয়ে স্থানীয় পরিবেশবিদদের অভিমত পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে প্রশাসনিক অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যতায় এটি থেকে সহজে মুক্তি মিলবে না।
উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট বড় প্রায় প্রতিটি দোকানে পন্য বেচাকেনাতে ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্টদের দণ্ডের আওতায় আনলেও বাজারজাত ও বিক্রি কোনটাই বন্ধ করা যাচ্ছেনা।বিশেষ করে এখানকার হাট -বাজার গুলোতে এখন দুই ধরনের পলিথিন বেশী ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হাতলওয়ালা রঙ্গিন,অন্যটি হাতলবিহীন স্বচ্ছ ব্যাগ।
উপজেলার ২ টি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানে পলিথিন ব্যাগের মাধ্যমে পন্য হস্তান্থর করা হচ্ছে।অনেকে বাজারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের দোকান খুলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।পাশাপাশি এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আইন অমান্য করে পন্যের মোড়ক হিসেবে পলিথিন ব্যবহার করে চলেছেন। যা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে একাধিক দোকানীর সাথে কথা হলে তারা জানান বাজারে বিকল্প ব্যাগ না থাকায় অপরাধ জেনেও সহজলভ্য হিসেবে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন , পলিথিন বিক্রি ও বাজারজাত দুটাই দণ্ডনীয় অপরাধ। দেখা গেছে প্রশাসন অভিযান চালানোর পর কিছু দিন বন্ধ থাকে। পরে আবার কৌশল পাল্টিয়ে পলিথিন বিক্রি শুরু করে দেয়। এ ক্ষেত্রে অভিযানে পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।
সাইদুর