ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১

টঙ্গী ইজতেমা ময়দান এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, গাজীপুর

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

টঙ্গী ইজতেমা ময়দান এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে

টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদ-জুবায়ের গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি হতাহতের ঘটনায় গাজীপুর প্রশাসন থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ঘিরে চতুর্দিকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত একের অধিক জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ইজতেমা মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন সাদ পন্থীরা। 

ইজতেমা ময়দানের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বুধবার দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করলে সাদ পন্থীরা মাঠ ছেড়ে চলে যান। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান এখন পুরোপুরি খালি।

নানা সজোয়া যানে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদ-জোবায়ের গ্রুপের এমন মারামারি কাটাকাটি সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গী গাজীপুরের নাগরিকরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা একত্রে একবার বা অন্যত্র স্থানান্তর অথবা বন্ধের দাবি করেছেন। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান এখন পুরোপুরি খালি।

২০ ডিসেম্বরের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠান না করেই চলে গেছেন সাদ পন্থীরা। এর আগে বুধবার ভোররাত ৩টায় জোবায়ের পন্থীদের হটিয়ে সাদ পন্থীরা মাঠের দখল নেন। 

জোবায়ের পন্থী নেতারা বলছেন, সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি, গভীর রাতে একতরফাভাবে সাদ পন্হীরা আক্রমণ চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৮ সালে সাদ-জোবায়ের গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই মুসল্লী নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন দক্ষিণ পুলিশের উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, ইজতেমা ময়দানের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। 

তিনি জানান, এখন থেকে ইজতেমা ময়দান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি তিনি সব নাগরিককে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান। এখন থেকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে থাকবে।

বিকাল থেকে সাদ পন্থীরা মাঠ ছাড়তে থাকেন। সন্ধ্যা নাগাদ মাঠ পুরোপুরি খালি হয়ে যায়। উল্লেখ করা যেতে পারে , বুধবার ভোর ৩টার দিকে জোবায়ের গ্রুপের দখলে থাকা ইজতেমা ময়দান বেদখল করতে সাদ পন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করলে জোবায়ের-সাদ পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

সংঘর্ষের পর সাদপন্থীরা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে টঙ্গী ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সাদ পন্থীদের মারপিটের ঘটনায় জুবায়েরপন্থীরা আন্দোলন শুরু করলে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, মহাসড়ক অবরোধ এবং হাসপাতালে মারধর ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণে নিতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

ইজতেমা ময়দান এলাকার তিন কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে সাদপন্থীদের ময়দান খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ মেনে সাদপন্থীরা ময়দান ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে মাঠ খালি করে দেন।

এসআর

×