ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের পর আরেক আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম বাবু। সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি জমি দখল, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন। তার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কারণে আড়াইহাজার এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু পরপর তিনবার নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সর্বশেষ জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল ও বালু উত্তোলনসহ আড়াইহাজারের প্রায় সব কার্যক্রম নিজের দখলে রেখেছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার নামে ও তার স্ত্রীর নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে।
বাবুর অনুমতি ছাড়া কেউ জমি বিক্রি করতে পারতেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এমনকি কম দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটেছে।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তার অত্যাচারের অভিযোগও প্রচুর। তার নির্দেশে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে অনেককে। এলাকাবাসীর মতে, বাবুর কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। থানার পুলিশ ও প্রশাসন তার ইশারায় চলত।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের পতনে বাবু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে বিদেশে আত্মগোপনে আছেন।
তার অনুপস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা এখন তার এবং তার স্বজনদের অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বাবুর পতন আড়াইহাজারবাসীর জন্য কিছুটা স্বস্তি এনেছে বলে অনেকের মত।
এম.কে.