ছবি: সংগৃহীত
যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন মুখ ঢাকা ব্যক্তি আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পাশে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুই ব্যক্তি অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। মঞ্চের আশপাশে আরও কিছু শ্রোতাও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর যশোর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না, তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, এটি তাদের বার্ষিক আঞ্জুমান (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান)-এর অংশ ছিল। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম তুলে ধরার উদ্দেশ্যে একটি নাটিকা উপস্থাপন করেছিল।
মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান বলেন, "প্রতিবছর আমরা বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করি, যেখানে উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত, গজল এবং নাটিকায় ভালো করা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের সংগ্রাম নিয়ে একটি নাটিকা মঞ্চস্থ করেছিল। এতে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রগুলো কাঠ এবং শোলা দিয়ে তৈরি।"
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী জানান, "১৬ ডিসেম্বর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আজীবন সদস্যদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই মঞ্চেই বার্ষিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য করা হয়। এটি কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে করা হয়নি।"
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভিডিওটি দেখেছেন। এটি মাদ্রাসার একটি প্রতিযোগিতার অংশ ছিল, যেখানে শিক্ষার্থীরা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছে।
এম.কে.