ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

ছয় বছরেও শেষ হয়নি ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল

প্রকাশিত: ২২:০২, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ছয় বছরেও শেষ হয়নি ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ

নির্মাণাধীন সেতু

বরিশাল -বাকেরগঞ্জ, বাউফল- কালাইয়া, দশমিনা হয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা পর্যন্ত সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন নেহালগঞ্জ সেতুর নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে এখনো অনিশ্চিত। সেতুটি নির্মাণ হলে বরিশাল জেলা শহরের সাথে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন সহ পটুয়াখালি জেলার বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা উপজেলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নত হবে। 

গত চার বছরে চারবার পরিবর্তন হয়েছে কাজ হস্তান্তরের মেয়াদ। ৬ বছর পার হলেও এখনো শেষ হয়নি আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর নির্মাণাধীন নেহালগঞ্জ সেতুর কাজ। সেতুটির একটি স্পাম ও দুপাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে সেতু নির্মাণ কাজ। সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১৮ সালে। সরকারি অর্থায়নে তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছিল ২০১৭ সালে। সেতু ও সড়ক বিভাগের অধীনে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান এম খান গ্রুপ সেতুর কাজ করছেন।

দেশীয় তহবিলে ২ হাজার ৫৪০ ফুট দীর্ঘ এই সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।  সেতুটির ১ হাজার ফুট সংযোগ সড়কের মাটির কাজ ছাড়াও নদীর মধ্যবর্তী অংশে সেতুর স্প্যানের দুই পাশের প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার‘র নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নকশা সংশোধন করে মধ্যবর্তী অংশে স্টীল টাইপ স্ট্রাকচারের জন্য দরপত্র আহবান করেছে সড়ক ও জনপথ বরিশাল সার্কেল। সেতুটির ১৩টি স্প্যানের ১২টি পিয়ার ছাড়াও দুটি এবাটমেন্ট‘র নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায় হলেও নদীর মধ্যবর্তী অংশের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে নকশা সংশোধন করে ইস্পাতের অবকাঠমো নির্মান করতে হচ্ছে। এই সেতুর নির্মান কাজ শুরুর আগে বিআইব্লিউটিএ নকশায় অনাপত্তি দেয়ার পরেও নির্মাণ কাজের মাঝামাঝি সময় আপত্তির মুখে গত কয়েক বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে দুই দপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি ও একাধিক বৈঠকের পর সমঝোতার আলোকে সম্প্রতি সেতুর মধ্যবর্তী স্প্যানটি মূল নকশার চেয়েও যতটা সম্ভব উঁচু করে নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমঝোতার আলোকে নেহালগঞ্জ সেতুটির মধ্যবর্তী এক’শ ফুটের স্প্যানটিকে ইস্পাতের অবকাঠামোতে নির্মান করতে গিয়ে নকশার পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়েছে। ৩৬ ফুট প্রশস্ত এ সেতুটিতে যানবাহন চলাচলের জন্য মূল অংশটি ২৪ ফুট বলে জানিয়েছেন বরিশাল সড়ক বিভাগ।

বরিশাল সড়ক জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, নেহালগঞ্জ সেতুর জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা কাটেনি। জমি অধিগ্রহণ চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া গেছে, শীঘ্রই জমির মালিকদের তা বুঝিয়ে দেয়া হবে। স্প্যাম তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছর এপ্রিল বা মে মাসে এটি হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের তিন উপজেলার যাতায়াত, বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে। সহজ হবে সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

রিয়াদ

×