পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আচরণে কষ্ট পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথায় কষ্ট পেয়েছে। তিনি বলেন, ভারত এ দেশ স্বাধীন করেনি বরং ৭১ এ লাখো শহীদের জীবন ও রক্তের এদেশ স্বাধীন করেছে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামকে ক্ষমতায় নিয়ে ইসলাম নামক গাছটিকে মজবুত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। দুনিয়াতে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির নাম হলো ইসলাম।
ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদ, ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবে সংগঠিত গণ হত্যার বিচার,দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার-অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা, সখ্যানুপাতিক (পি.আর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন,ইহকালিন শাস্তি ও পরকালিন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে- আজ ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার, বিকেলে, ঐতিহাসিক রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখবেন, রংপুর জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান রিপন সরকার, রংপুর মহানগর সেক্রেটারী মুহাম্মাদ আমিরুজ্জামান পিয়াল,জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ রংপুর মহানগর সভাপতি মাওলানা মোসলেম উদ্দীন জিহাদী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর সভাপতি হাফেজ নুর মোহাম্মাদ জিহাদী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আওলাদ হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর মহানগর সভাপতি মোহাম্মাদ আবু রায়হান প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রংপুরের মানুষ বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হাতপাখা প্রতিকে ব্যাপক সমর্থন দিয়ে সম্মানিত করে প্রমান করেছে রংপুরের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষীরা বিগত ৫৩ বছরে নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আলেম ওলামা ও কোন কোন ইসলামী দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যাবহার করেছে। ক্ষমতালোভীরা নিজেদের স্বার্থে এদেশে ইসলাম নামক গাছটিকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে দেয়নি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অতীতে যারা ক্ষমতায় গেছে তারা কল্যাণ বা ভাগ্যের পরিবর্তনের চেয়ে নিজেদের কল্যাণে কাজ করেছে। তারা হাজার হাজার মায়ের কোল খালি করেছে। দেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। জুলাই আন্দোলনে ৫ শতাধিক মানুষের চোখ অন্ধ করেছে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ক্ষমতা রাখে। আমাদেরকে আর ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের সন্তান আবু সাঈদ ও মুগ্ধের কথা উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর বলেন, "রংপুরের সাহসী সন্তান আবু সাঈদ দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে বুক টান করে গুলি চালাতে আহ্বান জানানো এবং পানি লাগবে পানি"বলে ডাক দেয়ার দৃশ্য আমার চোখে ভাসছে। তাদের এই আত্মত্যাগকে আমরা কোনভাবেই বৃথা যেতে দিবো না। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আগামী দিনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা বাংলাদেশকে সিকিম বানাতে চায় তাদের সে স্বপ্ন পুরন হবে না। জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রিয়াদ