বিচারের দাবিতে নিহতের দুই ছেলে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যাঘটনায় খুনির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের আত্নীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকাবাসী, স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল নিহতের দুই ছেলে জিহাদ ও জিসান।
আজ বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে নোয়াখালীর শহর চৌমুহনীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত গৃহবধূর বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি বলেন, আমরা দেখি ভারতের এক নারীর মৃত্যুতে শোকে কাতর ছিল বাংলাদেশিরা অথচ নিজ দেশে এভাবে নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে তা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। খুনীকে ধরার এখনো কোনো তৎপরতাে দেখা যায়নি। মামলা নিতেও দেরি করেছে। অঅমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব এই নিংশস খুনীর গ্রেফতার নিশ্চিত করা হোক। আমরা এই নিংশস খুনের বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার মাইল্যা বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে নিহতের দূর সম্পর্কের এক দেবর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩৫)। তিনি উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর এলাকার নোয়াবাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী এবং দুই ছেলের জননী। অভিযুক্ত দেবর সাইফুল ইসলাম ওরফে খালেদ (৩০) একই বাড়ির ডিশ লিটনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে পিংকির ব্যবহৃত মোবাইল নষ্ট হলে তা ঠিক করে আনতে দেন খালেদকে। ওই সময় খালেদ মোবাইল থেকে পিংকির স্বামীকে পাঠানো ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে নেন। তারপর সেই ছবি ও ভিডিও দিয়ে পিংকিকে ব্ল্যাকমেইল করে ৭ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি আরও টাকা দাবি করেন এবং পরকীয়ায় ব্যর্থ হয়ে পিংকিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।
নাহিদা