বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত চিহ্নিত করা নাপ নদীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী মৎসজীবী আবদুর রহিম ৩৮ বছর ধরে এই নদীকে তার জীবিকার উৎস হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, বিশেষ করে আরাকান আর্মি রাখাইন দখল করার পর, সীমান্তের দুই পাশেই মাছ ধরা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
রহিম জানিয়েছেন যে, সীমান্তের পরিস্থিতি সাম্প্রতিককালে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, মাঝে মাঝে গুলির শব্দ শোনা যায়। তবুও, নাফ নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মৎসজীবীরা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অস্থায়ী রাফট ও মাছ ধরার ছিপ ব্যবহার করছেন। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করছে এবং মৎসজীবীদের বিতাড়িত করতে নিয়মিত মাকিং ঘোষণা করছে।
এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে অবৈধ অভিবাসনের হুমকির কারণে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চলাচল নিয়ে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধ করতে টহল বাড়িয়েছে এবং মাছ ধরার জাহাজগুলো মনিটর করা হচ্ছে যাতে তারা মিয়ানমারের পানিতে প্রবেশ না করে। ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নাফ নদী, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পয়েন্ট, বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো বৃদ্ধি করা হয়েছে যাতে বাংলাদেশের দিকে আরও অস্থিরতা এবং অভিবাসন প্রতিরোধ করা যায়।
রাজু