চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি, ভারতের মিডিয়ায় ব্যস্ত রবীন্দ্র ঘোষ
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’-এর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি আগামী ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ ভারতের সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে মেডিকেল ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন।নিজেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ কলকাতার ব্যারাকপুর আনন্দপুরির সি রোডের চয়নিকা অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় বসে দাবি করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর ‘সঠিক বিচার’ পাবেন। তার আরো দাবি, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার ট্রাম্প প্রশাসনকে ভয় পাচ্ছে। কেন ভয় পাচ্ছে, এমন প্রশ্নে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘যদি ভারত-আমেরিকা মিলেমিশে সমস্যা তৈরি করে, সেই কারণে অন্তর্র্বতী সরকার ভয় পাচ্ছে। আমার সঙ্গে আগে যে ধরনের ব্যবহার করত, গতকালের (১৫ ডিসেম্বর) ব্যবহার দেখলাম সেই তুলনায় ভালো।’’
রবীন্দ্র ঘোষ ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ইসকনের কিছু সদস্যের ঈর্ষা থেকেই ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে যে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছে, তা মিথ্যা এবং চক্রান্তমূলক।
তিনি আরও বলেন, চিন্ময়ের মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান অবস্থাকে ‘গণতান্ত্রিক অস্থিতিশীলতা’ উল্লেখ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।
রবীন্দ্র ঘোষ ইলিশ মাছ রপ্তানি নিয়েও বাংলাদেশের সমালোচনা করেন এবং একে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে আখ্যা দেন।
জেআই