শীতে বোরোর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে
শীত ও কুয়াশা দুই-ই বেড়ে চলেছে যশোরে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে যেন ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি। এ পরিস্থিতিতে কৃষকের সদ্য প্রস্তুত করা বীজতলা কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকিতে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষক তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষার চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে অনেকটা দেরিতে এ অঞ্চলে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। নভেম্বরের শেষের দিকে এ অঞ্চলে গরমের প্রভাব ছিল। তবে ডিসেম্বরের শুরুর দিন থেকে তা ক্রমশ কমতে থাকে। যা গত শুক্রবার থেকে এ অঞ্চলে শীত জেঁকে বসতে থাকে।
যশোর আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, গত শুক্রবার থেকে যশোরের তাপমাত্রা কমছে। গত রবিবার ছিল সর্বনি¤œ ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই এক থেকে দুই ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের ওই কর্মকর্তা জানান। মঙ্গলবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতার পাশাপাশি প্রচ- কুয়াশায় এ অঞ্চলে চরম হুমকিতে পড়েছে বোরোর বীজতলা। তবে এতে কৃষকের খরচ বাড়ছে বলে তারা জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে যশোরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৬ হেক্টর। সেই অনুপাতে বোরোর বীজতলার টার্গেট রয়েছে ৮ হাজার ৮৬ হেক্টর। ইতোমধ্যে জেলার ৮ উপজেলায় ৩৬শ’ হেক্টর বোরোর বীজতলা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব বীজতলা কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছে কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আবু তালহা বলেন, বোরোর ভালো ফলনের জন্য মানসম্মত ধানের চারার বিকল্প নেই। এজন্য আমরা অনেক আগেই কৃষককে এসব প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলার জন্য নানা পরামর্শ দিয়ে আসছি।
কৃষকও তাদের অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে রাতের বেলা ঢেকে রাখছে এবং দিনের বেলায় পলিথিন তুলে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্তমান তাপমাত্রা যদি আরও কমতে থাকে তাহলে ক্ষেত থেকে ঠান্ডা পানি বের করে বেশি বেশি সেচ দেওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হুমায়ুন কবির