মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নদী ও সাগর বেষ্টিত উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় জনসাধারণের জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হলো লাল-সবুজের পতাকায় সজ্জিত কোস্টগার্ডের যুদ্ধ জাহাজ বিসিজিএস সোনার বাংলা’।
সোমবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী তীরে জাহাজটি উন্মুক্ত করে দেয় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। জাহাজটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছে শিশু থেকে শুরু করে বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ। কোস্টগার্ডের জাহাজ ঘুরে দেখা এবং জাহাজের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় সাধারণ মানুষের।
এছাড়া জাহাজটি সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এসময় জাহাজটি ঘুরে দেখতে পেয়ে দর্শনার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন নুরজাহান বেগম লিমা। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যেন আরো সুযোগ পাই।দেশের সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাই। দেখতে চাই। মোঃ মাকসুদুল্লা জানান,ভোলাতে এই প্রথম নৌ বাহিনীর জাহাজ দেখে আমরা আনন্দিত।
আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি। দর্শনার্থী আনোয়ার হোসেন জানান,আমাদের অনেক দিনের সখ ছিল এই জাহাজে ওঠার। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এদিকে কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের পক্ষ থেকে জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য জাহাজটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে দর্শনার্থীরা জাহাজটি গভীর সমুদ্রে গমন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কর্মকাণ্ড, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছে। ফলে জনসাধারণের মাঝে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ইতিবাচক দিক প্রকাশ পায়।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, জাহাজটি সেসি অটো রোবটিক সিস্টেমের যেখানে ৩০ মিলিমিটারের ২ টি অটোগান এবং ১৪.৫ মিলিমিটারের আরও ২ টিসহ মোট চারটি অটোগান রয়েছে। এটি ঘণ্টায় ২৩ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম। ৪৭ জন নাবিক এ জাহাজ পরিচালনা করছেন।
১৫৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২২ ফুট প্রস্থের এ জাহাজের ওজন ৩০৭ টন। এ জাহাজের নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল।
কুতুবে রব্বানী