বাস শ্রমিকদের হামলায় উলে্ট পড়ে আছে অটোরকিশা
পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাজশাহীতে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছেন বাস শ্রমিকেরা। এসময় তারা অন্তত ৭০টি সিএনজি অটোরিকশার সামনের কাঁচ ভেঙে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সিএনজি চালকদের দাবি, প্রায় ৯০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রী-চালকসহ ৪০ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৭ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডটিতে হামলা চালায় বাস শ্রমিকেরা। এর আগে সোমবার সকালে জেলার তানোর উপজেলা সদরে সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে পিটিয়ে আহত করে।
এর জের ধরে দুপুরে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনই বাস শ্রমিকেরা শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা রেলগেটে সিএনজি স্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের শান্ত করে। মঙ্গলবারও রাজশাহী থেকে কোন বাস চলাচল করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস শ্রমিকেরা হাতুড়ি ও লাঠিশোঁটা নিয়ে রেলগেটে চলে আসেন। তারা একের পর এক সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করতে শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে সিএনজি চালক ও যাত্রীদেরও পিটিয়ে আহত করে।
রাজশাহী সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৯০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জনকে। এদের বেশিরভাগই চালক, কয়েকজন যাত্রী আছেন। তিনি বলেন, ‘আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ এসেছে, সবই দেখেছে। আমরা মামলা করব।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, বিসয়টি নিয়ে আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে এসেছি।
রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, আমরা এসে ভাঙচুর করা ৩২টি গাড়ি পেয়েছি। অন্য গাড়িগুলো চলে গেছে। ভাঙচুর করা গাড়ির সংখ্যা ৭০টি হতে পারে। সব গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর কিছু গাড়ি উল্টে ফেলা হয়।’
ওসি আরও বলেন, যাত্রী ও চালক মিলিয়ে ১২ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দিলে আমরা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
জানা গেছে, রাজশাহীতে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। বাস শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরেই সিএনজি স্ট্যান্ড শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি করছেন। প্রায়ই তাদের মধ্যে ছোটখাট সংঘাত হয়। এর আগেও বাস চালক ও হেলপাররা তানোর উপজেলা সদরে মারধরের শিকার হয়েছেন। তখনও বাস চালকেরা গাড়ি বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদ করেছেন।
সাইদুর