ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

বিজয় দিবস উদ্যাপন

বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার শপথ

মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (বাঁয়ে) ও বগুড়া জেলা প্রশাসন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার করা হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
চট্টগ্রাম
সোমবার চট্টগ্রামে এবার অন্যান্যবারের মতো শহীদ মিনার, স্মৃতিস্তম্ভে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। একইসঙ্গে কুচকাওয়াজ না হওয়ায় জনস্রোত ছিল না নগরীর এম আজিজ স্টেডিয়ামেও। পাড়া-মহল্লায়ও মাইকে দেশাত্মবোধক গান শোনা গেছে কম। তবে বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করেছে।
সোমবার সকালে নগরীর কাট্টলীর ডিসি পার্ক সংলগ্ন অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে তোপধ্বনি ও সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। তোপধ্বনির পর সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছরেও বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত হয়নি। এ ছাড়া সকাল ৮টায় বিভাগীয় কমিশনার নগরীর সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেলা ১১টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৪০৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গাজীপুর : বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
রাজশাহী
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা এবং নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
খুলনা
প্রত্যুষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, কেসিসির প্রশাসক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি- বেসরকারি দপ্তর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। এ সময় রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট
সোমবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন শুরুর মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি, তারপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। পর্যায়ক্রমে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক,  পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর বিএনপি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ সংগঠন একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সাতক্ষীরা
সোমবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ছাত্র প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে  ৭ দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে।


মুন্সীগঞ্জ
মহান বিজয় দিবসে মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তারের মানুষ। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে মানুষের ঢল। সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিজয় মেলা উদ্বোধন হয়। আর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,  বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এর আগে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে ৩১ তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। আর সার্কিট হাউসে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।  সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। গৌরবের ৫৩ বছর পূর্তি দিনটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতার উপর গুরুত্বারোপ করে। 


ভোলা
সোমবার ভোরে তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কালেক্টরেট চত্বরে শহীদ স্মৃতিশোধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিএনপি, বিজেপি, জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সকাল ৯টায় সরকারি স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা  উত্তোলন করা হয়। আয়োজন করা হয়েছে বিজয় মেলার। মেলায় চারু, কারু, হস্ত ও কুটির শিল্প পণ্যের প্রদর্শনী ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রীতি ক্রীড়া অনুষ্ঠানের।
দিনাজপুর
সোমবার বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুরুতে সূর্যোদয়ের সময় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা ও প্রোভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর  ড. মো. শফিকুল  ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে বিজয় দিবসের র‌্যালি বের করা হয়।


কুমিল্লা
সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি শেষে কুমিল্লা টাউন হলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) খায়রুল আলম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


বাগেরহাট
সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ কর্মকর্তাগণ। এর পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর পরেই জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, শিক্ষা প্রকৌশল স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলা সদরে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


মাগুরা
সকালে নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদাসহ সরকারি কর্মকর্তা, বিএনপি, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন এরপর জেলা প্রশাসক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিকেলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিয়র রহমান প্রমুখ।
মাদারীপুর
সোমবার সকালে পুলিশ লাইন মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়।  সকাল সাড়ে ৯টায় শকুনি লেকেরপাড়ে স্বাধীনতা অঙ্গনে বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। পরে ৬ দিনব্যাপী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মুহম্মদ হাবিবুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুনির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা আজরিন তন্বী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াদিয়া শাবাব উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি
সোমবার ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। ভোরে চেঙ্গী স্কোয়ার সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়া হয়। এরপর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আমান হাসান, জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৩১ বার তোপধ্বনি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়াসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে রাষ্ট্র, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক শরিফা হক। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে ‘প্রত্যয়-৭১’ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

খুলনা : গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
ঝিনাইদহ
সোমবার বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এতে জেলা বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেয়।
শরীয়তপুর
দিবসের প্রথম প্রহরে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির পক্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু। এ ছাড়াও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা সিভিল সার্জন অফিস, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত স্মৃতিফলকে এবং শহীদ মোহাম্মদ আলী, নরেশ  চৌহানের কবরে ও জাঠিভাঙ্গা বধ্যভূমিতে শহীদদের সম্মানে রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।
যশোর
শুরুতে বিজয় স্তম্ভে একাত্তরের বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপর বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
বরগুনা
সোমবার সকাল সাতটায় বরগুনা গণকবর স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম ও পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল। সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম।
জয়পুরহাট
শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
নোয়াখালী
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, চর জব্বর ডিগ্রি কলেজসহ ৯টি উপজেলা প্রশাসন ও প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। সকালে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে নোবিপ্রবি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শেরপুর
সোমবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম। এরপর একে একে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক (উপসচিব) তোফায়েল আহমেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী, সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জেবুন নাহার শাম্মী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
গাজীপুর
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুরু হয়। পরে জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠের পাশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান ও জেলা পুলিশ আবুল কালাম আযাদ। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (বিডিইউ), রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিনব্যাপী পৃথক কর্মসূচি পালন করে।
কিশোরগঞ্জ
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ  সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সকাল ৭টায় গুরুদয়াল সরকারি কলেজের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করাসহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
সোমবার সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে ৩১বার  তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সোমবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কলেজ মোড়ে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, বীরপ্রতীক আব্দুল হাই, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন, সিভিল সার্জন মঞ্জুর এ মুর্শেদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী ফিরুজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার প্রমুখ।
নরসিংদী
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নরসিংদী কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পর্যায়ক্রয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার  আব্দুল হান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, নরসিংদী পৌর প্রশাসক মৌসুমি সরকার রাখী, নরসিংদী জেলা বিএনপির পক্ষে মনজুর এলাহী।
লক্ষ্মীপুর
সোমবার দিবসের সূচনা করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্তার হোসেন, পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, সিভিল সার্জন ডা. কবির আহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর কমান্ড মাহবুবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উদ জামান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটু, স্থানীয় সরকার নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরামুল হক, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী লাবন্য দত্ত, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক।
পাবনা
স্মৃতিসৌধ দুর্জয় পাবনার পাদদেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান। পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটিতে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়।
গোপালগঞ্জ
শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। শেষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখানে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারে  স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা, পৌরসভা, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব, বিএনপি, জামায়েতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন।
নীলফামারী
সোমবার ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয় শহরের স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এর পরেই বিচার বিভাগ ও জেলা পুলিশ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

মোহাম্মদ আলী

×