ভেলপুরি নাম হলে তৈরীতে বেল দিতে হয় না। ময়দা, ডাল ও আলুর সাথে কয়েক রকমের মসলা দিয়ে তৈরী হয়। বিক্রির সময় দেওয়া হয় শসা, গাজর, টমেটো ও ধনিয়া পাতা মিশ্রিত সালাদ ও টক।
খেতে স্বাদ এ ভেলপুরি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ শহরের পাকিং এরিয়ার প্রবেশে মোঃ রবিউল মিয়ার ভ্রাম্যমাণ দোকানে পাওয়া যায়। তিনি দৈনিক ১৫০ থেকে ১৬০ পিস ভেলপুরি বিক্রি করেন। প্রতি পিস ১০টায় লোকজন ক্রয় করে খেতে পারছেন।
স্বাদে অতুলনীয় ভেলপুরি খেতে আসা ধান চাল ব্যবসায়ী আহমদ আলী বলেন- রবিউল মিয়া বিকেল থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত পার্কিং এরিয়ায় ভ্রাম্যমাণভাবে ব্যবসা করেন। তার তৈরী ভেলপুরি ক্রয় করে খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায়। আমার ন্যায় লোকজন ভেলপুরি ক্রয় করে খাচ্ছেন।
ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ১০টায় ভেলপুরি ক্রয় করে খেয়ে স্বাদ পেয়েছি। বর্তমান সময়ে এর চেয়ে সস্তা খাবার পাওয়া যাবে না। বিক্রেতা রবিউল মিয়া নিজে ভেলপুরি তৈরী করে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্যকর মনে হয় বিধায় লোকজনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এ ভেলপুরি।
স্কুল ছাত্রী রত্না বেগম বলেন- শহরে গেলে ভেলপুরি ক্রয় করে খেয়ে আসি। খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায় বলেই রবিউল মিয়ার ভেলপুরি লোকজন খায়। বর্তমান সময়ে ১০টায় এর চেয়ে আর কি পাওয়া যাবে?
পত্রিকা বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, শায়েস্তাগঞ্জে জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় বর্তমানে ভেলপুরিও স্থান পেয়েছে। রবিউল মিয়ার ন্যায় বিকেল বেলায় আমিও শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে ঝালমুড়ি ও ভেলপুরি বিক্রি করে লাভবান। ভেলপুরি খেয়ে লোকেরা প্রশংসা করে।
জেলার লাখাই উপজেলার সিংহগ্রাম গ্রামের মোঃ মনাই মিয়ার ছেলে মোঃ রবিউল মিয়া বলেন- জীবিকার তাগিদে শায়েস্তাগঞ্জ শহরের তালুগড়াই এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য গরমের সময়ে সরবতের পাশাপাশি ভেলপুরি বিক্রি করি। শীতে সরবত তেমন একটা বিক্রি হয় না। কিন্তু ভেলপুরি বারমাস বিক্রি হয়। বছরখানেক ধরে নিয়মিত ভেলপুরি বিক্রি করছি। প্রতি পিস ১০টায় বিক্রি করে ৩ টাকা করে লাভ হয়। এভাবে ১৬০ পিস বিক্রি করে দৈনিক ৫০০ টাকারমত লাভ হচ্ছে। এ টাকায় পরিবার নিয়ে চলতে পারছি। লোকজন খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছে বলেই ভেলপুরির চাহিদা বাড়ছে।
ছবি ক্যাপশন- ভেলপুরি বিক্রি করছেন রবিউল মিয়া।
মোহাম্মদ আলী