চট্টগ্রাম শহর রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ প্রকাশন অনুষ্ঠান
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৬২টি দুর্ঘটনায় ৫৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল বন্ধ করতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। এজন্য জরুরিভিত্তিতে বিআরটিএর জারি করা যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ বাস্তবায়ন করা দরকার।
রবিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সম্মেলন কক্ষে ’ওয়ার্ল্ড ডে অফ রিমেমব্রান্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিম ‘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল সংলাপ ও চট্টগ্রাম শহর রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর সহায়তায় নগর ভবন কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে সব প্রতিষ্ঠানের কাজ করা জরুরি। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের সাথে পুলিশ, বিআরটিএ, সিডিএ সবাই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে সহজেই সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাবে।
সেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হলে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষন ও লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার বিকল্প নেই। অন্যদিকে পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং ও আন্ডারপাস তৈরি করার জন্য চসিক মেয়রকে অনুরোধ জানান তিনি।
ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে রোড দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ যানবাহনের অতিরিক্ত গতি। তাই বিআরটিএ ‘যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪’ জারি করেছে। চসিক এই নির্দেশিকাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সড়কগুলোকে নিরাপদ করে তুলতে পারেন।
এরপর বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কোঅর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ চট্টগ্রাম রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ এর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সাইদুর