রাজশাহীর পবা উপজেলার দুটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে ১৯৫৭ বস্তা আলু জব্দ করে তা সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
আলুর বাজারে কয়েক দফা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলমান অস্থিরতা ঠেকাতে সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে পবার উপজেলায় বিভিন্ন হিমাগারে নির্ধারিত সময়ের পরও মজুতকৃত আলু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ন্যায্য মূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার আমান ও রহমান কোল্ডস্টোরেজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদ হাসান। এতে পবা থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমান কোল্ডস্টোরেজে ৪৫২ বস্তা ও রহমান কোল্ডস্টোরেজে ১৫০৫ বস্তা আলু ন্যায্য মূল্যে বিক্রির জন্য জব্দ করা হয়েছে। উপস্থিত ক্রেতাদের উপস্থিতিতে খোলা বাজারে ডাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি আলু ৩৯ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। যা ভোক্তাদের মাঝে খুচরা দরে প্রতি কেজি আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। জানা গেছে- হিমাগারে অভিযান চালিয়ে মজুতকৃত আলু বাজারে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুতদারেরা আলু সংগ্রহ করে হিমাগারে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলাতেই ৪৩ টি কোল্ডস্টোরেজ আছে। এতে সংরক্ষণ বা মজুত করা হয় প্রায় ৮৫ লাখ ব্যাগ বা বস্তা। আর প্রতিবস্তায় ৬৫ কেজি আলু থাকে।
রাজু