নালুয়া চা বাগানের কুয়া। ছবি: জনকন্ঠ
হবিগঞ্জে বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্য কুয়া। কুয়া রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছেন না। বর্তমানে জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও বাহুবল পাহাড়ি এলাকায় এখনো কিছু স্থানে কুয়ার পানি ব্যবহার হচ্ছে। বাগান ও গভীর বনে বসবাসকারীরা কুয়ার পানি ব্যবহার করছেন। তবে গ্রামবাসী গভীর নলকূপ পেয়ে অনেক আগেই কুয়ার পানি ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ কুয়ার পানি উত্তোলন করতে অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি রয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকের বাড়িতে কিছু কুয়া এখনো রয়েছে। এর পানি তারা এখনো ব্যবহার করছেন। এছাড়া সংরক্ষণের অভাবে অনেক কুয়া পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে।
নালুয়া চা বাগানের পশ্চিমটিলার বাসিন্দা কৃষ্ণ মুন্ডা নামে এক নারীবলেন, কুয়ার পানি এখনো আমাদের কাছে নিরাপদ। এ পানি সবসময় ভাল থাকে। কুয়ার পানিতে গোসল অনেকটা আরামদায়ক।
জানা যায়, বাগানগুলো স্থাপনের সময় প্রত্যেক বাগানের পাড়ায় পাড়ায় কুয়া নির্মাণ হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কুয়াগুলো আজ বিলুপ্তির পথে। জেলার পাহাড়ি এলাকার চা বাগানসহ গভীর অরণ্যের কিছু কিছু স্থানে কুয়া টিকে থাকায় ঐতিহ্য জানান দিচ্ছে।
আমোদ মাল বলেন, সময়ের সাথে কুয়া বিলুপ্তির পথে। তবে এখনো বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের বাড়িতে কুয়া রয়েছে। অনেক স্থানে কুয়ার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় নষ্ট হয়ে ভরাট হয়েছে। এগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, গ্রামে কুয়া বিলুপ্ত হলেও চা বাগানসহ পাহাড়ি এলাকায় কিছু কুয়া এখনো রয়েছে। সময়ের সাথে কুয়া বিলুপ্ত হচ্ছে। কুয়া রক্ষায় সংশ্লিষ্টদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাবিব