শ্রীপুরে খোলা বায়নায় দরিদ্র কৃষক কফিজ উদ্দিনের সাড়ে ১০ শতক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতে নগদ এক লাখ টাকা বায়না পেলেও খোলা বায়নাপত্রে ৮ লাখ টাকা উল্লেখ করে আব্দুছ ছালাম ও তার সহযোগীরা প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই কৃষক। এ বিষয়ে শনিবার রাতে কৃষক শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শ্রীপুর থানা পুলিশ।
কৃষক কফিজ উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ী (ফকির বাড়ী) গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে আব্দুছ ছালাম,তার স্ত্রী আমেনা খাতুন, মাইন উদ্দিনের ছেলে আতাবরসহ ৪-৫ জন সহযোগী।
কৃষক কফিজ উদ্দিনের থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষকের সাড়ে ১০ শতক জমি পাঁচ বছর আগে অভিযুক্ত আব্দুছ ছালাম ক্রয়ের উদ্দেশ্যে দাম নির্ধারণ করে ১ লাখ টাকা খোলা বায়নানামা দলিল করে। কৃষকের সরলতার সুযোগ নিয়ে ওই দলিলে আব্দুছ ছালাম ৮ লাখ টাকা উল্লেখ করে কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে। কিছুদিন পর ছালাম জমি ক্রয় করবে না বলে বায়নার টাকা কৃষকের নিকট থেকে ফেরত নিলেও বায়নানামা দলিল ফেরত না দিয়ে কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা করে।
গত মঙ্গলবার ছালাম ও তার সহযোগীরা লাঠি সোঠা নিয়ে ওই জমিতে পিলার দিয়ে বাঁশের বেড়া ও ছোট ছাপড়া ঘর তুলে। এসময় কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে দখলকারীরা তাদের মারধর করে।
অভিযুক্ত আব্দুছ ছালাম জানান, জমির খাজনা খারিজ সম্পন্ন হওয়ার পর জমি রেজিস্ট্রি এবং কৃষকের বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমির নির্ধারিত মূল্য ১২ লাখ টাকার মধ্যে ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে খোলা বায়না রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান,কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন অফিসারকে (এসআই) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
কুতুবে রব্বানী