একটি বাজারে কীটনাশক দোকানে সারের স্তুপ দেখা যাচ্ছে
উপজেলায় ইউরিয়া ও ননইউরিয়া সারের বাজারে চলছে বিশৃঙ্খল অবস্থা। কৃষি বিভাগের গাফিলাতির সুযোগে কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে মুদি ও কীটনাশকের দোকানে মেলে ওই সব সার। তারা অবাধে ইচ্ছামত দামে সার বিক্রি করে প্রান্তিক কৃষকদের পকেট কেটে আসছেন। সার কেনা বেচার অনুমতি ছাড়াই দেদারছে সার কেনা বেচা করার প্রকাশ্য বিষয়টি কৃষি বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা রহস্যজনক কারনে দেখেও না দেখার ভান করে আসছেন। যেটি গাফিলাতি করার সামিল বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। ফলে তথ্য জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলে না। সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলা সদরসহ ছয় ইউনিয়নের সব হাট ও বাজারের কীটনাশকের দোকানে এবং ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের অন্তাহার গ্রামের মুদিদোকানে সার বেচা কেনা করতে দেখা যায়। এর মধ্যে উপজেলার “সারের হাট” নামের পরিচিত নসরতপুর ইউনিয়ন সদরের রেলওয়ে স্টেশন রোডে এক সারিতে হাফডজন কীটনাশকের দোকানে অবাধে সার কেনা-বেচা হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। এছাড়া মুরইল বাজার ও তাঁত শিল্প গ্রাম হিসাবে পরিচিত শাওইল হাট-বাজারেও চলছে এই রমরমা কারবার। এই ইউনিয়নের ইউরিয়া ও ননইউরিয়াসহ বিসিআইসি’র পাঁচ ডিলার এবং সমসংখ্যক বিএডিসি ডিলার থাকার পরও অনেক কীটনাশকের দোকানে অবৈধ ভাবে ওই সব সার গলাকাটা দামে অবাধে কেনা-বেচার বিষয়টি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এবিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার ও সার মনিটিরিং কমিটির সদস্য সচিব মিঠু চন্দ্র অধিকারি; প্রথমে এমনটি তো হবার কথা নয় বলে জানিয়ে বলেন, বিষয়টি অবৈধ হলেও এর উপকারিতা রয়েছে দাবী করে বলেন, এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষিরা সহজে সার পেয়ে থাকেন বলে সারের অবৈধ ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেয়।
মোহাম্মদ আলী