সংগৃহীত ছবি।
মাটির উপর থাকা বড় পাথরে প্রতিদিন মণকে মণ দুধ ঢালেন নানা ধর্মের মানুষ। কথিত আছে, পাথরের গায়ে দুধ ঢাললেই পূরণ হয় মনোবাসনা। বড় একটি পাথরের এমনি এক অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
মনের বাসনা পূরণের আশায় প্রতিদিনই পাথরের গায়ে মাথা দিয়ে কেউ প্রণাম করেন, কেউ তাজা ফুল দেন আবার কেউ মোনাজাতও করেন।
দুধ খায় বলেই এ পাথরের নাম দেওয়া হয় দুধ পাথর।
তবে পাথরটিকে কখনো দুধ শুষে নিতে দেখেননি বলে জানান অনেকেই।
এদিকে, চেষ্টা করে হাতি দিয়েও এই পাথর সরানো যায়নি বলে জানান অনেকেই।
এ দুধ পাথরের অবস্থান মহাস্থানগড়ের শাহ্ সুলতান বরখী (রহঃ) মাজারের উত্তর- পশ্চিম দিকে। ১৯৭০ সালে মাটি খনন করে একটি মন্দিরের সন্ধান পায় স্থানীয়রা। মন্দিরটি অষ্টম শতকে নির্মিত পাল আমলে নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির। সেখানেই এ পাথরের সন্ধান পাওয়া যায় বলে একে "খোদাই পাথর" বলা হতো।
সময়ের পরিক্রমায় যা "দুধ পাথর" নামে পরিচিতি পেয়েছে। দুধ পাথরটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। ধারণা করা হয়, রাজা পরশুরাম দুধ পাথরটি মশৃণ করে বলি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতেন। হিন্দু রমণীগণ এ পাথরটিকে দুধ ও সিঁদুর দিয়ে স্নান করাতেন।
পাথরের পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন এক বটগাছ। দুধ ঢেলে পাথরের গা ধুয়ে দিলেই মনোবাসনা পূরণ হবে মনে করে দূর- দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন নানা বয়সী মানুষ। শুক্রবার সহো ছুটির দিনগুলোতে পাথরের চারিপাশে ভিড় বাড়ে ভক্তদের।
রিয়াদ