শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশের জেলা-উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো-
চট্টগ্রাম
ফুলেল শ্রদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ এবং যথাযথভাবে জাতীয় বীরদের সম্মান জানিয়ে শনিবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বধ্যভূমিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বধ্যভূমি রক্ষা করতে করপোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক সংলগ্ন পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই তাদের স্মৃতিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের যেসব সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা, যারা দেশের মেরুদ- ছিলেন। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এবং শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অবশ্যই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা তাদের নাম ও ইতিহাস সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মেয়র হিসেবে আমি যতদিন ক্ষমতায় থাকব ততদিন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের চেষ্টা করব। এর আগে সিটি মেয়র শাহাদাতের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
খুলনা
শহীদদের স্মরণে দিনটি উপলক্ষে শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। এছাড়া দিনের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাইফ নেওয়াজ প্রমুখ।
অপরদিকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা বিএনপির উদ্যোগে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু, সৈয়দা নার্গিস আলী, ফখরুল আলম, স ম আ রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মোল্লা ফরিদ আহমেদসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী দলের নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহী
রাজশাহীতে দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী কলেজ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান, পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনার আব্দুর রহীম প্রমুখ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বুদ্ধিজীবীরা কেউ মাথা নত করেননি। তারা জানতেন তাদের জীবন তাদের জীবন বিপন্ন কিন্তু তারা কেউই বিক্রি হননি।
রংপুর
রংপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের আলোচনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি করেছে। বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। শনিবার দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বুদ্ধিজীবীরা মেধাকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ স্বাধীনতা অর্জনের পথকে সুগম করেছিল। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ভোলার কোনো সুযোগ নেই।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় রংপুর টাউন হলসংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দপ্তর ও সংগঠনের কর্মকর্তারা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিকেল ৩টায় মহানগরীর দমদমায় বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে স্থানীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি রাজিহার গ্রামের কেতনার বিলের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন। দুপুরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের মরার ভিটা নামক এলাকার ১৩৫ শহীদের বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের জনতা। দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন, মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া, কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার শেখ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লব, গৌরনদী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম জহির, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম ফকির প্রমুখ।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শনিবার সরকারি কলেজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ঘিরে বিশেষ পরিবেশ বিরাজ করে। কনকনে ঠা-া আর কুয়াশা ভেদ করে সর্বন্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জনান। প্রথমেই ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। বীর মুক্তিযোদ্ধারাও আসেন ফুল দিতে। ফুলে ফুলে ভরে যায় বধ্যভূমির পাদদেশ। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করতে নতুন প্রজন্মেরও অনেকে অংশ নেয়। রাজধানীর কাছের এই জনপদটিতে পাকিবাহিনী বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।
পাবনা
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভার মাধ্যমে পাবনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। শনিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান পাবনা প্রেস ক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি ও পাবনা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঠাকুরগাঁও
শনিবার ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে অপরাজেয় ’৭১ গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম ও জেলা বিএনপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গঠনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
রাঙ্গামাটি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এই সময় উপস্থিত থেকে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করে বক্তব্য রেখেছেন অতরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক ) মো. রুহুল আমিন, অতরিক্ত জেলা প্রশাসন (শিক্ষা ও আইসিটি ) নাসরিন সোলতানা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন ও সিভিল সার্জন নূয়েন খিসা প্রমুখ।
নীলফামারী
শনিবার সকালে দিবসটি পালন উপলক্ষে নীলফামারী সরকারি কলেজ বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা পরিষদ, নীলফামারী সরকারি কলেজ, ছাত্রদল, নীলফামারী প্রেস ক্লাবসহ সরকারি-আধাসরকারি, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পু®পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণু পদ পালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মুনীর, জামায়াত নেতা ও সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির সাবেক উপাধাক্ষ্য শহীদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম, সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা জজ কোটের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু বক্কার সিদ্দিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক ইমরান হোসেন ও নাজমুল হাসান রনিসহ অন্যরা।
বাগেরহাট
বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে শনিবার সকালে শহরের ডাকবাংলা মোড়স্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। এর পরেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা বিএনপি, টিআইবি, ডিপিএফ-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন, গার্ড অব অনার প্রদান ও রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া শেষে ডাকবাংলা ঘাটস্হ বধ্যভূমিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম প্রমুখ।
মৌলভীবাজার
মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার শহরের শাহ্ মোস্তফা সড়কে অবস্থিত গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, পৌরসভাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, সাংবাদিক, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামেও যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ডেপুটি কমিশনার নুসরাত সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায়,পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-ই-মোর্শেদ, বীরপ্রতীক আব্দুল হাইসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতৃবৃন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দিবসটির প্রতিপাদ্য ও নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিশেষ আলোচনা করেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ।
অপর দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অডিটরিয়াম হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইউএনও আতাউর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাহলে বুদ্ধিজীবী দিবসে যারা শহীদ হন তাদের আত্মা শান্তি পাবে, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের আস্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাইফ, আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আবু হোসেন ও আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি আসলাম হোসেন অর্ক, মুখ্য সমন্বয়ক সজিবুল ইসলাম, জেলা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাদিয়া জান্নাত এবং ভিজে সরবারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র তামিম সরোয়ার।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, আলোচনা সভা ও মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় ঝালকাঠি শহরের পৌর খেয়াঘাট সংলগ্ন বধ্যভূমি বেদিতে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়সহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপরে জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেনগুপ্ত এবং শহীদ ইমাম বক্তব্য রাখেন। জেলা
প্রশাসক বলেন, দেশকে মেধাশূন্য করার জন্যই এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল এবং আরও কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবীর তালিকা করা হয়েছিল কিন্তু তারা সেই সময় আর পায় নাই। তারা নৃশংসভাবে এই বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে পৈশাচিক নির্যাতন করে হত্যা করে রায়ের বাজারের এই বদ্ধভূমিতে ফেলে রেখেছিল।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ৮টায় জয়পুরহাটের ভারত সীমান্তবর্তী পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি এবং সকাল ১০টায় কড়ই-কাদিপুর বধ্যভূমিতে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্াতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সরকার মোহাম্মদ রায়হান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি আমিনুল হক বাবুল । বাম গণতান্ত্রিক জোট শহরে শহীদদের স্মরণে মিছিল বের করে।
ফেনী
যথাযত মর্যাদার মধ্য দিয়ে ফেনীতে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকাল দশটায় ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর প্রশাসন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে তরুণ প্রজন্ম যেন বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞান চর্চা করেন।
মাগুরা
শনিবার মাগুরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির মধ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা প্রভৃতি। আনুষ্ঠানিকভাবে নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মিগণ। আলোচনা সভা শেষে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
গাইবান্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে স্থানীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিরিন আকতার। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেয়।