ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে, যার ফলে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বিশেষ করে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি।
গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি, মূলা ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা। বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা, ফুল কপি ৩০-৪০ টাকা, পাতা কপি ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা।
এছাড়া, নতুন আলু ৬০-৭৫ টাকা এবং পুরানো আলু ৭০ টাকা কেজি, সিম প্রকারভেদে ৫০-৭০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রোশন ২৩০-২৪০ টাকা এবং আধা রোশন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জলঢাকা পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আজিজুল ইসলাম জানান, শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, "সবজির উৎপাদন আরও বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।"
জলঢাকা পৌর বাজারে বাজার করতে আসা বগুলাগাড়ী ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, "গত কয়েকদিন আগেও বাজারে ৭০-৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যেত না, কিন্তু এখন দাম কমায় বাজার করে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।"
এদিকে, স্থানীয় খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, যদি সরবরাহ আরও বাড়ে, তবে সবজির দাম আরো কমে যেতে পারে।
নুসরাত