ছবি: প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাহলে বুদ্ধিজীবী দিবসে যারা শহীদ হয়েছেনে তাদের আত্মা শান্তি পাবে, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের আস্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ যাতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে, দেশে যেন হানাহানি লেগে থাকে, দেশ মেধাশুন্য হয়ে যায় আর কেউ যেন দেশ পুনঃগঠনে ভুমিকা রাখতে না পারে সে জন্য নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। তাই দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের যার যার জায়গা থেকে সহনশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। শনিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মুন্সি আবু সাইফ, আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড.আব্দুর রশীদ,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আবু হোসেন ও আব্দুল মাবুদ জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি আসলাম হোসেন অর্ক, মূখ্য সমন্বয়ক সজিবুল ইসলাম, জেলা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী নাদিয়া জান্নাত এবং ভিজে সরবারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র তামিম সরোয়ার।
আলোচনা শেষে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম কারী কবীর আহম্মেদ।
এম.কে.