ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে যে বাড়ির ধারে কাছে কেউ ঢুকতে পারতো না, সেই বাড়ি এখন পরিণত হয়েছে পার্কে। দিনের বেলা জনসাধারণ চাইলেই সেখানে যাতায়াত করতে পারছেন, শিশুরা খেলাধুলা করছে বাড়ির আশেপাশে।
তবে রাতের বেলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাতের অন্ধকারে, বাড়িটি হয়ে ওঠে পতিতা ও মাদক সেবীদের আড্ডা স্থান। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, এই বাংলোবাড়িতে এক সময় শেখ রেহানা, শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আসতেন। মাঝে মাঝে রাতের বেলা, জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়ি ঢুকত, এবং সেসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হতো। গাড়িগুলো কখনো ভোরে চলে যেত, আবার কখনো দু-এক দিন অবস্থান করত। তখন সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না।
মৌচাক এলাকার বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন।
তবে জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর বাংলোবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় তারা বাংলোটি ভাঙচুর করে এবং ফাইলপত্রে আগুন দেয়। সাথে সাথে টিভি, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, টাকাসহ অন্যান্য আসবাবপত্র লুটপাট করে। সবকিছু নষ্ট করে ফেলা হয়, এবং বাংলোটি হয়ে পড়ে অরক্ষিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলোবাড়িতে এখন কোনো গেট বা পাহারাদার নেই। বিশাল সুইমিং পুলসহ বাংলোটি বর্তমানে সম্পূর্ণ পোড়া অবস্থায় রয়েছে। দরজা জানালা, আসবাবপত্র কিছুই নেই, এবং প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে পোড়া চিহ্ন রয়েছে।
বাড়ির সামনে রয়েছে একটি বিশাল শান বাঁধানো পুকুর, যেখানে কয়েকজন বসে আছেন। পুকুরের পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলছেন কিছু তরুণ। মাঠে কেউ ফুটবল খেলছে। খেলতে আসা তরুণরা জানায়, তারা এই মাঠের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে এখানে আসে। তাদের মতে, এখানে অনেক জায়গা এবং ভালো পরিবেশ রয়েছে, যার কারণে তারা এখানে খেলতে আসে, আড্ডা দেয়, এবং ঘুরে বেড়ায়।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, একসময় যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না, আজ সেখানে তাদের ভিন্ন এক পরিবেশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
নুসরাত