চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। গত দুদিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে গেছে। গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষকগণ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান,চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিলো। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত ২৬ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। প্রত্যেকদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাঁড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ বাড়ছে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিন মজুরদের সমস্যা বেশী দেখা হচ্ছে। তারা কাজের সন্ধানে বেরুলেও কাজ পাচ্ছেনা। মজুররা কাজ না পেয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। অর্থাভাবে পরিবারের খাবার জোগাড় করতে পারছেনা তারা। দিননাথপুর গ্রামের শের আলী প্রত্যেকদিন সকালে শহরের চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি কাজও পেয়ে যান। কিন্তু শীতের কারনে তিনি বেশ কথদিন কাজ পাচ্ছেন না।
ঠিক একই রকম দশা হয়েছে রিক্সা ও ভ্যান চালকদের। শহরের রিক্সা চালক আহাম্মদ জানান, সকালে রিক্সা ভাড়া বেশী হয়। শীতের কারনে মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় তাদের ভাড়া কম হচ্ছে।শহরের কোর্ট এলাকার চায়ের দোকানী ফরজ আলী বলেন, প্রতিদিন খুব ভোরে তিনি দোকানে চা বিক্রি শুরু করেন।
প্রতিদিন বেশ ভালই চলে চা বিক্রি। বর্তমানে কথদিন শীতের কারনে চায়ের দোকানে খদ্দের আসছেনা। এতে তিনি বেশ বিপাকে পড়েছেন। আয় রোজগার কম হওয়ায় সংসার চালানোই তার মুশকিল হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।