ছবি: সংগৃহিত
“শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। বেদনা-বিধুর এই দিনে অতল শ্রদ্ধা আর অকৃত্রিম ভালোবাসায় স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। যারা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন। বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি। গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা এবং ভালোবাসা জানাচ্ছি শহীদ পরিবারের শোকার্ত প্রতিটি সদস্যদের প্রতি।
পৃথিবীর মানচিত্রে যখন ”বাংলাদেশ” নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েছিলো। যখন এদেশের প্রতিটি প্রান্তে বিজয় উল্লাসের প্রতিক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছিলো কোটি কোটি মুক্তিকামী মানুষ। বুকের তাজা রক্তে কেনা গৌরবের লাল-সবুজের পতাকার যখন বিজয় মিছিল সুনিশ্চিত, তখন, পাক হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় জেনে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলো। স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ যেন মেধা ও মননে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে। বাংলাদেশীদের পঙ্গু জাতিতে পরিনত করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনা ঘৃনিত ইতিহাসের নিকৃষ্ট অধ্যায়। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে আত্মদান করেন অগণিত সূর্যসন্তান। এখনো মিরপুর ও রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বাঙালী জাতির কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সৌধ।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপের “নতুনj বাংলাদেশ” গড়তে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবো।