হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচন্ড শীতে গোটা চুয়াডাঙ্গা জেলা থমকে গেছে। শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় জেলার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। স্বাভাবিক কর্মজীবনে দেখা দিয়েছে স্তবিরতা। গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা কমতে থাকে। গত এক সপ্তায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জোষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এ জেলায় সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত ২৫ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। প্রত্যেকদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাঁড় কাঁপানো শীত অনূভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ বাড়ছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারনে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল কম করছে। যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় পরিবহনের সিডিউল বাতিল করা হচ্ছে। রাস্তা-ঘাটে, হাটেবাজারে জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কেনাবেচা কম। টানা কয়েক দিনের শীতের কারনে উপার্জন করতে না পারায় মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটা না খেয়ে দিন যাপন করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ ও এনজিওদের কাছ থেকে পাওয়া প্রায় ৭০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাহিদা পাঠানো হয়েছে সেগুলো পৌঁছুলে বিতরণ করা হবে। আর শীতে কর্মহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা চালানো হবে।