পটুয়াখালী জেলার বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: জনকন্ঠ
পটুয়াখালী জেলার বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেন। জাহাঙ্গির হোসেন বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দাশপাড়া ইউনিয়ন ৪০-৫০ জন লোক দাশপাড়া ল্যাড়া মুন্সীর ব্রিজের কাছে চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গির হোসেনের অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন। এসময় জাহাঙ্গির হোসেন তার বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। এসময় তিনি বাউফল থানার পুলিশকে ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকালীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো জাহাঙ্গির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খলিলুর রহমানের দায়েরকৃত একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই তাকে পটুয়াখালী কোর্টে প্রেরণ করেন।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ৪০-৫০ জন লোক এসে চেয়ারম্যানের অফিসের তিনটি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে পুলিশকে খবর দিলে সেনা বাহিনীর সদস্যসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার সাথে কথা বলে। এরপর তারা চলে যাওয়ার দুই ঘন্টার পর পুনরায় ওইসব ব্যক্তিরা এসে চেয়ারম্যানের অফিসের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে ৪৫ বস্তা চাল ও জরুরী কাগজপত্র নিয়ে যায়। এরপর অফিসের চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র বাহিরে নামিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও আগুন দেয়া হয়।
এ ঘটনার আধা ঘন্টা পর পুলিশ বাসায় এসে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাউফল থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খলিলুর রহমানের দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোয়েল মোল্লাকে (৩৬) শহরের গালর্স স্কুল রোডস্থ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকেও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খলিলুর রহমানের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তাবিব