ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

স্বামীর কারাবাস, স্ত্রীর হৃদয় জেল সুপারের পিএসের হাতে বন্দী!

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার।।

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামীর কারাবাস, স্ত্রীর হৃদয় জেল সুপারের পিএসের হাতে বন্দী!

কক্সবাজারে স্বামী কারাগারে থাকাকালীন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘরের সম্পদ লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মাসুদ করিম (৫০) নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা বেগম (৩৫) এবং স্ত্রীর কথিত প্রেমিক মো. রিয়াদ (২৬) এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি দাম্পত্য জীবন ধ্বংস, আর্থিক ক্ষতি এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হওয়ার বিষয় তুলে ধরেন।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী মাসুদ করিম জানান, তিনি একটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে ছিলেন। সেই সময় তিনি অসুস্থ হলে কারাগারের হাসপাতালে বেডে থাকার জন্য ১২ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী কারাগারে যান। এরপর থেকে রুপা বেগম কারাগারে গিয়ে তাকে নগদ অর্থ দেওয়ার অজুহাতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে জেল সুপারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও কারারক্ষী মো. রিয়াদের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই পরিচয় একপর্যায়ে পরকীয়ায় রূপ নেয়।


মাসুদ করিম আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট রিয়াদ, রুপা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান কক্সবাজারের হোটেল হিল টাওয়ারে রাত্রিযাপন করেন। তার বড় ছেলে পুরো বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে। পরে তিনি জানতে পারেন, তার ঘর থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, আনুমানিক দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং এক লাখ বিশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ সব মালামাল লুট করে রুপা বেগম পালিয়ে গেছে।
মাসুদ করিম জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি স্ত্রীর সন্ধানে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রিয়াদের প্ররোচনায় রুপা বেগম তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা একে সামাজিক অবক্ষয়ের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অনেকেই মাসুদ করিমের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ ঘটনাটিকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার আবু মুছা বলেন, রিয়াদ নামের একজন কারারক্ষী কর্মরত আছেন। এমন ঘটনা সত্যিই দু:খজনক। আমাদের কাছে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেল সুপার মো. জাবেদ মেহেদী বলেন, ভুক্তভোগীর নাম-ঠিকানা পেলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাফরান

×