রাসেল মিয়ার (১৯) পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত কাভার্ডভ্যানের সাহায্যকারী রাসেল মিয়ার (১৯) পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বারহাট্টার শাসনউড়া মৌজায় ১০ শতক সরকারি জমিতে একটি আধাপাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।
এ উপলক্ষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মা কুলসুমা আক্তারের হাতে জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ঘর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভূমি ও গৃহহীন রাসেল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে বিজিবির গুলিতে নিহত হয়।
নিহতের ছেলের লাশ দাফনের মত জমিটুকুও ছিল না রাসেলের দিনমজুর বাবার। তাই বাধ্য হয়ে ভাইয়ের জমিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে দাফন করে পেটের দায়ে ঢাকা চলে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি জানতে পেরে নিহত হওয়ার প্রায় একমাস পরে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গুলিতে নিহত রাসেলের পরিবারের খোঁজ নিল না কেউ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর হতদরিদ্র রাসেলের নিহত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তাৎক্ষণিক জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নিহত রাসেলের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়।
সর্বশেষ শহিদ রাসেলের গৃহহীন পরিবারটিকে মাথা গোঁজার মত ১০ শতাংশ জায়গা ও একটি ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ ১১ ডিসেম্বর বিকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ শহিদ রাসেলের কবর জিয়ারত করেন।
আর কে