ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

চিন্ময় ব্রহ্মচারীর আইনজীবীকে হেনস্তার প্রতিবাদ সনাতনী জাগরণ জোটের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০৬:০২, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

চিন্ময় ব্রহ্মচারীর আইনজীবীকে হেনস্তার প্রতিবাদ সনাতনী জাগরণ জোটের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে জামিন শুনানির আবেদন করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে চট্টগ্রাম আদালতে শারীরিক হেনস্তা ও হুমকি দেয়া হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।

পাশাপাশি জোট নেতৃবৃন্দ আদালতে আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছেনা উল্লেখ করে তারা দেশ বিদেশের সকল মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন।

বুধবার রাতে জোটের সন্তমন্ডল ও প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে  বলা হয়, বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে যেহেতু আদালত দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে তাই সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানির নির্ধারিত তারিখ এগিয়ে আনার জন্য ও আইনজীবীদের নামে হওয়া মিথ্যা মামলায় লড়তে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এসেছিলেন।

কিন্তু আজ আদালতে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি কথা রাখেনি, রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, আলিফের হত্যাকারীদের পক্ষে চট্টগ্রাম বারের কোনো বিজ্ঞ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে হত্যা মামলার একটি নিয়ম আছে, হত্যা মামলার কোর্ট যখন চলবে তখন কোর্ট নিজেই একজন আইনজীবী নিয়োগ করবেন আসামিপক্ষে। এটাকে স্টেট ডিফেন্স বলে। আলিফ হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে চট্টগ্রামের বাইরের আইনজীবী দাঁড়ালে বাধা দেওয়া হবে না।

কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিচারকের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করা হয়েছে। । এর আগে ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াতে পারেনি।  যার কারণে সেদিন আইনজীবী না থাকায় আদালতে জামিন শুনানি হয়নি। আদালত পরবর্তী ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালে শুনানির দিন ধার্য করে। 

বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। আদালতে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়া হয় বলেও উল্লেখ করা হয়। ওই সময় তিনি পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছেন বলে  বিবৃতিতে দেয়া বক্তব্যে জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সন্তমন্ডল বলেন, আমরা এমন অবস্থায় দেশের হিন্দুরা আছি যাদের মারবে কাটবে, জমি দখল ও সম্পদ-ব্যবসা লুটপাট করবে, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করবে কিন্তু তার জন্য আদালতে ন্যায় বিচারও চাওয়া যাবে না। আমাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও দাঁড়াতে পারবে না। 
এর আগে চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্যসহ সাতজনের চেম্বার ভাংচুর ও তাদের উপর হামলা করা হয়। যা আইনজীবী সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অস্বীকার করেছে। এমন অবস্থায় আমরা দেশে বিদেশের সকল মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা কামনা করছি।


বুধবার সকালে  সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ তিনটি পিটিশন দেয়। তখন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা রবীন্দ্র ঘোষের কাছে আসামির পক্ষে ওকালনামা এবং আসামির ফাইলিং আইনজীবী শুভাশীষ শর্মার লিখিত অনুমতিপত্র নেই বলে আদালতকে জানান । আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিটিশনগুলো নামঞ্জুর করেন।

ইসরাত

×