বাংলাদেশি সেজে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ধরা পড়েছেন রোহিঙ্গা বাবা-মেয়েসহ তিনজন। আটককৃতরা হল - সুমাইয়া আক্তার (১৯) ও তার বাবা মো. তৈয়ব (৪৫) এবং মো. ইসমাইল (৬৫)। তাদের মধ্যে ইসমাইলের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডি ইউনিয়নে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে আটককৃতদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ জানান, সুমাইয়া ও তার বাবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা। তবে ইসমাইল বাংলাদেশি নাগরিক। সুমাইয়ার জন্য এনআইডি কার্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে ইসমাইলকে তার পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অথচ তার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি জন্ম নিবন্ধন সনদও আছে। সেটি জমা দিয়ে তথ্য গোপন করে কিছু প্রক্রিয়া এগিয়ে নিলেও বুধবার দুপুরে ছবি তোলার সময় সন্দেহ হলে আমরা প্রথমে মেয়েটিকে আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে পুরো বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করে। আসলে সুমাইয়ার বাবা তৈয়ব।
জানা যায়, দুপুরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্বাচন অফিসে আসেন সুমি আক্তার (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। এ সময় উপজেলার জুঁইদণ্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইসমাঈল নামের একজনকে নকল বাবা সাজিয়ে আনা হয়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে তাদের নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যান নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরতরা।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইদুর