দান হাতে কৃষক দিদার হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলায় ব্রি ১০০ ও ৮৭ জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রি ১০০ জাতের ধান প্রতি বিঘায় ২০ মণ ও ৮৭ জাত বিঘাপ্রতি অন্তত ১৮ মণ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। সেই সাথে জেলায় ৮৫ শতাংশ রোপা আমন জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শতভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার ৯ উপজেলায় এ বছর ৮৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়। এখান থেকে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৯ টন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা। চালের হিসেবে তা হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৩ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এসব তথ্য দিয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম জানান, এবার রোপায় আবাদ করা জাতের মধ্যে ব্রি ধান ১০০, ১০৩, ৮৭, ৯০, ৭৫, ৪৯, ৩৯, ২২, ২৩ এবং বিনা ধান ৭, ১৭ ইত্যাদি রয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ১০০ জাতের ধান প্রতি বিঘায় ২০ মণ এবং ৮৭ জাত বিঘাপ্রতি অন্তত ১৮ মণ ফলন দিচ্ছে। আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় আগামী মৌসুমে এ দুই জাতের আবাদ বাড়ানো হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আকতারুজ্জামান জানান, বুধবার পর্যন্ত রোপা আমনের ৮৫ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল জমির ধান কৃষকের গোলায় ওঠে যাওয়ার কথা।
এদিকে জেলার ৯ উপজেলা থেকে এবার ৩ হাজার ৪৯৯ টন ধান, ৩ হাজার ২৪৯ টন সেদ্ধ চাল ও ৩ হাজার ৫৭২ টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকারের খাদ্য বিভাগ। আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৩ টাকা, সেদ্ধ চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪৭ ও আতপ চাল ৪৬ টাকা কেজিতে কিনবে সরকার।
মেহেদী কাউসার