চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বলে আগুনে পুড়ে ১২ বসতঘর ছাই হয়ে গেছে। এদিকে সংগঠিত অগ্নিকান্ড নারী কেলেংকারীর জেরে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।তাছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৭ ব্যক্তি । বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর সকালে চাম্বল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের জয়নগর পাডায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো- ওই এলাকার মৃত লেদু মিয়ার পুত্র মোঃ মিয়া, মোঃ এহছান, মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মোঃ কালু, মৃত নবাব আলীর পুত্র মোঃ জাহাঙ্গির, মোঃ ইসমাঈল, মোঃ ইসহাক, মৃত কালু মিয়ার পুত্র মোঃ করিম, মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র মোঃ জামাল, মোঃ কবির, আবদু ছত্তার, আবদু ছবুর, মৃত আবদুল্লাহর পুত্র মোঃ হারুন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল্লাহ। তিনি এসময় আরো জানান স্থানীয় বাবুল নামে এক যুবকের সাথে একই এলাকার করিমের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। দুই পরিবার পরকীয়ার ঘটনা জেনে গেলে যুবক বাবুলের বিরুদ্ধে শালিসি বৈঠকের আয়োজন করে।
ওই শালিসে যুবককে দোষি সাব্যস্ত করা হয়।এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার ভোর সকালে ওই নারীর স্বামী করিমের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই আগুনে আশপাশের আরো ১২টি বসতঘরসহ সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এঘটনায় বাবুল নামে ওই যুবককে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ ইসহাক বলেন স্থানীয় হারুনের পুত্র বাবুলের সাথে পার্শ্ববর্তী করিমের স্ত্রীর পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের ঝগড়ার জেরে বাবুল করিমের ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এর আগের দিন দুপুরে প্রকাশ্যে অগ্নিকান্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে লোকজনের সহায়তায় তাকে প্রতিহত করা হলেও ভোর রাতে ওই যুবক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এতে মুহুর্তেই আগুন অন্যান্য বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার মিজানুর রহমান বলেন, চাম্বলে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা করি। আমাদের দুটি টিমের ঘন্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে ১২টি ঘর পুডে যায়।