উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ধীরে ধীরে বেড়ে চলা কুয়াশার কারণে এলাকার মানুষজনের মধ্যে ঠান্ডার প্রকোপও বেড়েছে। বিশেষ করে ভোর এবং সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব মানুষকে শীতবস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য করছে।
বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা দিন গড়ালেও কাটেনি। সূর্যের দেখা মিলছেনা । মৃদু ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে কনকনে শীত যোগ হয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে। শহরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে যানবাহনের চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। মানুষজন জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসান বলেন, “শীতের কারণে কাজে বের হওয়া খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। দিনের বেলাতেও সূর্যের দেখা না মেলায় গরম পোশাকেও আরাম পাওয়া যাচ্ছে না।”
এদিকে ধীরে ধীরে শীতজনিত রোগের প্রভাবও বাড়ছে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স শেলী আক্তার জানান, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
রংপুর আবহাওয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ও মৃদু ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে গাইবান্ধার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। তবে শীত আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী