ফেনীতে খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা
দীর্ঘ চৌদ্দ বছর রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারেন নাই দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বজনরা। ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে কাঙ্গালী ভোজের নামে ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখে যেতেন বাড়ির গেইটের সামনে। এই ময়লা আবর্জনার জন্য বাড়ির গেইট খুলতে পারতেন না তার স্বজনরা। চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াতো। যার ফলে বাড়িতে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে যেত।
বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের ছোট ছেলে বলেন, ‘ আসলে নির্যাতনের কোন শেষ নেই। আমাদের পরিবারের কোন সদস্য বাড়ি থাকতে পারে নাই। এই বাড়ির গেইটটি আমরা দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর খুলতে পেরেছি। তারা আমাদের বাড়ির সামনে নির্বাচনের ক্যাম্প করেছে। বাড়ির গেইটের সামনে ময়লা ফেলে রাখতো।
স্থানীয়রা জানান, ‘ ১৫ আগষ্ট এলেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেত। বাড়ির দিকে মুখ ফিরে উচ্চ শব্দে বাজানো হতো গান। রাখা হতো গরু জবাই করে ময়লা আর্বজনা। যা ছড়ানো দুর্গন্ধ।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের পারিবারিক করবস্থানে ঘুমিয়ে আছে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। ১৯৯৪ সালে তারেক রহমান তাঁর নানার কবর জিয়ারত করতে এসেছিলেনে এখানে। বেগম জিয়া বহুবার এসেছেন তার আপন ছোট চাচা জামসেদ হোসেন মজুমদারকে দেখতে।
বেগম জিয়া পৈত্তিক নিবাসে এখনো বসবাস করছেন তাঁর ছোট চাচার পাঁচ পুত্র। রয়েছে বেগম জিয়ার নিজ হাতে রোপণ করা নিম গাছ, মসজিদ, পুকুরের শানবাঁধানো ঘাট।
শহীদ