কুয়াকাটার পর্যটনকেন্দ্রের হ্যান্ডি কড়াই বারে মদের বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে চার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বারের কর্মচারীদের মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় বারের কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন- কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য ইউসুফ ঘরামি, কুয়াকাটার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল মিয়াজি, কুয়াকাটার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হাসান ও ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মিরাজ হাওলাদার। আহতরা হলেন কর্মচারী ইউসুফ, বাবু ও নূর আলম।
আহত কর্মচারী ইউসুফ জানান, অভিযুক্ত নেতারা বারে মদ পান করার পর বিল না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় টাকা চাইলে তারা বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেন। তারা বারের চেয়ার-টেবিল ও গ্লাসও ভাঙচুর করেন।
পরে বারের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিষয়টি জানানো হলে, তারা ঘটনাস্থলে এসে টাকা পরিশোধ করে অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতি মিয়া প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং বিষয়টি সংবাদে প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, অভিযুক্তদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দখল-বাণিজ্যের মতো আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার পর বারের কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এবং বারটি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
জাফরান
