তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন চার লাইনের অরক্ষিত লেভেলক্রসিং
সরিষাবাড়ির তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন চার লাইনের অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং। চার লাইনের এ ক্রসিংটির লাইনের স্থানটি কাঁচা হওয়ায় হাল্কা বৃষ্টিতেই কাদায় পরিণত হয় এবং শীতকালে শিশির জমে উঁচু নিচু এ লাইনগুলো পিচ্ছিল হয়। অনেক সময় হঠাৎ ট্রেন এসে পড়ায় দ্রুত পার হতে গেলে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারী। অপরদিকে এ স্টেশনটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও স্টেশনে যাতায়াতের নেই কোনো রাস্তা। ফলে লেভেল ক্রসিংয়ের ওই পারে নেমে রেললাইনের ধারদিয়ে হেঁটে যেতে হয় স্টেশনে। যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।
জানা যায়, এ ক্রসিংটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাল্কা মাঝারি শত শত যান চলাচল করে থাকে। এ ক্রসিং সংলগ্ন তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন হতে প্রতিদিন তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন অগ্নিবীণা, যমুনা এক্সপ্রেস ও জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা-তারাকান্দি ও তারাকান্দি ঢাকা চলমান এবং দুটি লোকাল মেইল ট্রেন আগমন ও প্রস্থানসহ তারাকান্দি যমুনা সার কারখানায় সার ও বিভিন্ন পরিবহনের জন্য শত শত মালবাহী কামরা চলমান থাকে। এ ছাড়াও এ ক্রসিংয়ের দুই পাশে রয়েছে, পোগলদিঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পোগলদিঘা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পোগলদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোগলদিঘা মহাবিদ্যালয়, সরবান হাসান টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ, তারাকান্দি বাজার, বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। সব মিলিয়ে এ লেভেল ক্রসিংটি জনবহুল যান চলাচল ও জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ওপর দিয়ে চলমান। ভ্যানচালক মামুন মিয়া জানান, আমরা খুব কষ্টে আছি এই জায়গা নিয়া ভ্যান থেকে নেমে ঠেইলা পার হওন লাগে। আর বৃষ্টির দিন তো অন্য মানুষের সাহায্য ছাড়া পার হওনই যায় না। আমরা এর সমাধান চাই স্টেশনে যাওয়ার রাস্তা চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় মো. মিজানুর রহমান মিজান জানান, এ স্টেশনটি রেলওয়ের একটা লাভজনক স্টেশন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আধুনিক লেভেল ক্রসিং তো দূরের কথা স্টেশনে যাতায়াতের ভালো রাস্তা পর্যন্ত নেই। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের নিকট এ অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংটি রক্ষিত একটি আধুনিক লেভেল ক্রসিংয়ের রূপান্তর ও স্টেশনে যাতায়াতের একটি পাকা রাস্তার দাবি যাত্রী সাধারণ, এলাকাবাসী ও চলাচলকারী বিভিন্ন উপজেলার জনসাধারণের।