আহত দুই জামায়াত কর্মি শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নিয়ামতি গ্রামে দুই জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলার শিকার কামরুল ইসলামকে বাচাঁতে তার স্ত্রী রিনা আক্তার ও সন্তান সাআদ আহম্মেদ এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিয়ামতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে নিজ বাড়ির সামনে এই হামলার শিকার হন নিয়ামতি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ হাসিবুজ্জামান এবং তার ছোট ভাই জামায়াতের কর্মি কামরুল ইসলাম। হামলাকারী এ সময় আহতদের তাদের বাড়িতে দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তাদের দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। মাথা ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে কামরুল ইসলাম অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
৬ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসিবুজ্জামানের বলেন, নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা কৃষ্ণনগর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী উজ্জল (২৮) এবং মিজানুর (৩৮) এর নেতৃত্বে এই হামলা হয়। নেপথ্যে থেকে এই হামলার নির্দেশ দেন তাদের বড়ভাই নিয়ামতি ইউনিয়নের বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক বাহাদুর।
এ বিষয়ে আহত কামরুল ইসলাম বলেন, উজ্জ্বল এলাকায় চিহ্নিত একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ ডাকাতি মামলাও ছিল। এখন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বলেন, আহত দুই জামায়াত কর্মীকে দেখতে আমি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা বাহাদুর বলেন, এই হামলা ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
এ বিষয়ে উজ্জলের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো: সফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাহিদা