ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ফতুল্লায় বছরে কোটি টাকার গ্যাস অপচয়, বিচ্ছিন্ন চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ 

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ 

প্রকাশিত: ২২:১৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ফতুল্লায় বছরে কোটি টাকার গ্যাস অপচয়, বিচ্ছিন্ন চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ 

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বছরে কোটি টাকার অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করা চুন কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে তিতাস জোবিঅ ফতুল্লা অফিস। এ সময় ওই চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে জোবিঅ ফতুল্লা অফিসের আওতাধীন কতুবপুর পাগলা তালতলা মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসাবাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে একটি চুন কারখানার ভাট্টি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। 

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জোবিঅ ফতুল্লা অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, জোবিঅ নারায়ণগঞ্জ’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো: ইমরান, ইএসএস শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. আবু সুফিয়ান, মিটারিং এন্ড ভিজিল্যান্স শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তাইফুর রহমানসহ আবিবি-নারায়ণগঞ্জ’র অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ৯টায় অভিযানের এ বিষয়টি জোবিঅ ফতুল্লা অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বলেন, আজকের এ অভিযানে একটি অবৈধ চুন কারখানা পাওয়া যায়। যেখানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে তারা কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলো। 

আমরা এর আগে এ কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও তাদের বাধার কারণে আমরা অভিযান পরিচালন করতে পারেনি। আজকে পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় এখানে অভিযান পরিচালনা করছি। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি কারখানাটি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বর্তমানে কোন চুন কারখানার অনুমোদন সরকার থেকে পাওয়া যায় না। 

আমরা এ কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ পেয়েছি। ওনারা অবৈধভাবে প্রতিমাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা গ্যাস খরচ করেছে, যা বছরে প্রায় কোটি টাকার মত গিয়ে দাঁড়ায়। আজ কারখানাটির ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংযোগটি কিলিং করা হয় এবং ফ্যাক্টরিটির ভাট্টি গুড়িয়ে দেয়া হয়। আশাকরছি, তারা আর এখানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার এবং অবৈধ কারখানাটি পরিচালনা করতে পারবেন না। ‘কাউকে আটক কিংবা জেল জরিমানা করা হয়েছে কি না?’ 

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যখন অভিযান পরিচালনা শুরু করি। ঠিক তখনই কারখানাটির পিছনে ছোট এক গেট দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কারখানাটির মালিক ও কর্তৃপক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি।

তবে একজন লেবারকে আটক করা হয়েছিলো। পরে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটির পাশে একটি বাড়িতে ৮টি ডাবল বার্ণারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় সংযোগটি কিলিং করা হয়। অভিযানস্থল হতে ২ ইঞ্চি ডায়া ৮০ ফুট পাইপসহ ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণার জব্দ করা হয়। 
 

এসআর

×